কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। গেল ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা এ বছরের সর্বোচ্চ।
রোববার সকালে দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙলো সিলেটবাসীর। গোলাপগঞ্জ উপজেলায় টিলাধসে একই পরিবারের চানজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলার লক্ষণাবন্দ এলাকার বখতিয়ার ঘাটে ভোর ৪টার দিকে আকস্মিকভাবে টিলা ধসে পড়ে একটি আধাপাকা ঘরের ওপর। ঘুমন্ত অবস্থায় পরিবারের চার সদস্য প্রাণ হারান।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘হঠাৎ মাটি ধসে তারা সবাই মাটির ভেতরে ঢুকে গেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে এসে তিনজনের মরদেহ পাইছি। বাকিসব মাটির নিচে।’
স্থানীয়রা খবর পেয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, পরে খবর দেয়া হয় ফায়ার সার্ভিসকে। প্রায় চার ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সাথে যোগ দেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয়রাও। প্রথমে তিন জনকে উদ্ধার করা গেলেও প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় রিয়াজ মিয়ার মরদেহ।
দক্ষিণ সুরমা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার টিটব শিকদার বলেন, ‘আমরা এখানে ৬টা ১৪তে পৌঁছাই। প্রায় ১০ মিনিটের মাথায় আমরা তিনজনকে মৃত উদ্ধার করতে সক্ষম হই। আমাদের সাথে পুলিশ ছিল, উপজেলা ইউএনও ছিল। এছাড়া সেনাবাহিনী সদস্যরা ছিলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বাররা ছিলেন। তাদের সহযোগিতায় শেষ ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই।’
পাহাড় ব্যবস্থাপনা ও আগাম সতর্কতা না থাকায় এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। যদিও প্রশাসন বলছে, এ ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করা সহ জনসচেতনায় কাজ করছেন তারা।