নামাজে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নারী ও পুরুষ মুসল্লিরা অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি) জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখেই এই নামাজ আদায় করছেন। আগত মুসল্লিরাও নামাজ পড়তে পেরে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। আয়োজকরা জানান, প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে, এমনকি জেলার মানুষও। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করেন হাফেজ মৌলানা মাজেদুর রহমান।
গত ঈদুল ফিতরের নামাজে একটি ফতোয়াকে নিয়ে অন্যান্য মুসলিম সংগঠনের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শেষ হয়। কিন্তু পীর সাহেবকে আর আগাম ঈদের নামাজ পড়তে দেয়া হবেনা বলেও সতর্ক করে দেন তারা। গতকাল রাতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হলে পীর সাহেব উজান্ডি প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন তাকে সহযোগিতা প্রদান করে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আবু সাঈদ মো. তৌহিদ জানান, প্রশাসনের অনুমতি চাইলে প্রশাসন তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা নামাজ চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে ছিল বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ঈদেই পুলিশ প্রশাসনসহ প্রশাসনের সবাই জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন।’