নেত্রকোণায় আন্দোলনের মুখে পেছাল রেলের উচ্ছেদ অভিযান

ব্যবসায়ীদের অবস্থান কর্মসূচি ও সতর্ক অবস্থানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
এখন জনপদে
0

নেত্রকোণায় আন্দোলনের মুখে একমাস সময় বেধে দিয়ে বাতিল হলো রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান। আজ (সোমবার, ৭ জুলাই) সকাল ১০টায় থেকে পূর্ব নির্ধারিত সাতপাই রেলগেট এলাকায় রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়কে শুয়ে অভিযান বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীসহ রেলের আশপাশের মানুষজন। তাদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দও একাত্মতা জানিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এর আগে সকাল থেকে শহরের সাতপাই বড় রেলওয়ে স্টেশনে সাতপাই রেলগেট সংলগ্ন ব্যবসায়ী ও এর আশপাশের দখলদাররা অবস্থান নেয়। নানা স্লোগান আর প্রতিবাদের মাধ্যমে উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে সড়কে অবস্থান নেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে পূর্ব নির্ধারিত সাতপাই রেলগেট এলাকায় রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১১ টায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান শুরুর চেষ্টা চালায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাধার কারণে অভিযান শুরু করা যায়নি।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যরা আসেন। এরপরও অবরোধকারীরা ভেকুর সামনে গিয়ে দাঁড়ালে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারী ও রেল কর্তৃপক্ষ। পরে ব্যবসায়ীদের তিন মাসের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় রেলের কর্তৃপক্ষ এক মাসের সময়সীমা বেধে দিয়ে আগামী ৮ আগস্ট পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানায়।

যারা বৈধভাবে লিজ নেওয়া কাগজ দেখাতে পারবে তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করবে না বলে জানান অভিযান পরিচালনা করতে আসা বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সকলকে নিজ নিজ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

অভিযানকারী কর্তৃপক্ষ ও স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করার কথা থাকলেও রেলের স্থানে থাকা ব্যবসায়ী ও বসবাসকারীদের আন্দোলনের মুখে জেলা প্রশাসক নতুন করে সময় নির্ধারণ করেন।

সোমবার ১ মাস ২২ দিন পর উচ্ছেদ অভিযান করার কথা ছিল। কিন্তু রেলের স্থানে থাকা ব্যবসায়ীরা জানান দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রেলের জায়গায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কাঁচা বাজারসহ ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকান তৈরি করে ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে নির্দিষ্ট কিছু অংশে রেলের উচ্ছেদ অভিযানকে ষড়যন্ত্র বলছেন তারা।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আরাফাত উল্লাহ জুয়েল আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ৮৪টি দোকানের অধিকাংশ লিজ নিয়ে নেয়। তার অবৈধ লিজ বাতিল করে যাদের দেওয়া দরকার তাদের লিজ দিতে হবে। এছাড়া রেলের ভূমি নির্ধারণ করে দিতে হবে কোন কোন স্থাপনা অবৈধ। পরবর্তীতে আমরা সহায়তা করব তাদের।’

এএইচ

আরও পড়ুন:
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
No Article Found!