শঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালালো ইসরাইল। দুই শতাধিক যুদ্ধবিমানের পাঁচ দফা ভয়াবহ এই হামলার পর থেকেই মিলছে একের পর এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীদের নিহতের তথ্য।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী রোববার (১৫ জুন) অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে ষষ্ঠ দফায় বৈঠক স্থগিত করেছে ইরান। তবে ওয়াশিংটন বলছে, তেহরান চাইলে হতে পারে আলোচনা। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকদের দাবি, কূটনীতির আড়ালে চালানো হয়েছে ছুরিকাঘাত।
সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির সিনিয়র ফেলো নেগার মোরতাজাভি বলেন, ‘আমার মতে কূটনীতির আড়ালে অন্তর্ঘাত চালানো হয়েছে। আগামী রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। দেখা যাক এর প্রভাব কতদূর গড়ায়।’
এরইমধ্যে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে শতাধিক পাল্টা ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। যদিও ইসরাইলে পৌঁছানোর আগেই বেশিরভাগ ড্রোন ভূপাতিত করেছে জর্ডান। ছোট হামলার পেছনেও লুকিয়ে আছে কূটনীতি। বিশ্লেষকদের ধারণা, ভারসাম্য রক্ষার জন্য লোক দেখানো পাল্টা হামলা চালিয়েছে খামেনি প্রশাসন।
নেগার মোরতাজাভি বলেন, ‘ইরানের দৃষ্টিকোণ থেকে তারা এক প্রকার ভারসাম্য প্রদর্শনের চেষ্টা করছে। কারণ তারা চায় না সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ুক। একইসঙ্গে জনগণকে দেখানোর জন্য এমন হামলা চালানো হয়েছে যা থেকে আরো বড় সংঘাতের শঙ্কা নেই।’
ইসরাইলের হামলায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জে বিস্ফোরণের তথ্য মিলেছে। তেল আবিবের দাবি, ১৫টি পরমাণু বোমা তৈরি থেকে মাত্র কয়েকদিনের দূরে ছিল তেহরান। আয়াতুল্লাহ খামেনির পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তৈরির ‘স্বপ্ন ভেঙে গেছে’ এমনটা বলা না গেলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, নিউক্লিয়ার বোম্ব তৈরির ক্ষেত্রে আবারো বড় ধাক্কা খেয়েছে ইরান।