বিমানটি আহমেদাবাদের মেডিকেল ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় পাঁচ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়াও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার কিয়ারমার হতাহতদের পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
নরেন্দ্র মোদি মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের এ দুর্ঘটনা আমাদের হতবাক ও দুঃখিত করেছে। এটি এমন এক হৃদয়বিদারক ঘটনা যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ দুঃখের মুহূর্তে, বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমি সমবেদনা প্রকাশ করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার সঙ্গে যুক্ত মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।’
এয়ার ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান নাটরাজন চন্দ্রশেখরন এক বিবৃতিতে বলেন, গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে,, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী বিমানটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার সকল আরোহী ও তাদের স্বজনদের প্রতি আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছি।
আরো পড়ুন:
এয়ার ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য একটি জরুরি সহায়তা কেন্দ্র ও তথ্য সেবা দল গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতে একাধিক মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯৬ সালে দিল্লির আকাশে দুটি জেট বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রায় ৩৫০ জন নিহত হন।
২০১০ সালে, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতের ম্যাঙ্গালোরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৬ জন আরোহীর মধ্যে ১৫৮ জন প্রাণ হারান।
এর আগে, ১৯৮৫ সালের জুন মাসে মন্ট্রিয়াল থেকে লন্ডনগামী একটি এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমান আয়ারল্যান্ড উপকূলে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৩২৯ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে দুইজন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন জানায়, বিমানটি একটি 'মেডে' (জরুরি সহায়তা) সংকেত পাঠানোর পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি বিমানবন্দরের সীমানার বাইরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়।