প্রতিটি মূহুর্ত বিভীষিকার মধ্য দিয়ে পার করছে গাজাবাসী। ইসরাইলি সেনাদের অবিরাম হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনিদের জন্য বেঁচে থাকাই এখন বড় যুদ্ধ। বুধবার (২ জুলাই) দিনভর আইডিএফের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন ত্রাণ সংগ্রহের সময়। এতে ২১ মাস ধরে চলা যুদ্ধে উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ হাজার।
এমন পরিস্থিতিতে জোরেশোরে আলোচনায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গ। ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আশাবাদী উপত্যকার সাধারণ জনগণ।
তারা জানান, শুনেছি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন। শীঘ্রই প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করা উচিত। কারণ আমরা এই গণহত্যাকারীদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। আমরা চিরস্থায়ীভাবে যুদ্ধের অবসান চাই। আগের মতো গাজাকে গড়ে তুলতে চাই। সাময়িক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে চোখে ধুলো দেয়া যাবে না।
তবে হামাসের বিবৃতি প্রকাশের পরই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানান, ফিলিস্তিনি সংগঠনটিকে নির্মূল করা হবে। পাশাপাশি ঘরে ফিরিয়ে আনা হবে ৫০ জিম্মিকে। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, অস্ত্রবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে ইসরাইল।
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডন সার বলেন, ‘হামাস এখনো ৫০ জনকে জিম্মি করেছে রেখেছে। তারা যদি সবাইকে মুক্তি দেয় ও অস্ত্র ফেলে দেয়, তাহলে আগামীকালই যুদ্ধ শেষ হতে পারে। আমরা জিম্মি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলছি। কোনো হামাস থাকবে না। হামাস্তান গড়তে দেয়া হবে না। আমরা যেমন হামাসকে নির্মূল করবো, একইসঙ্গে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনবো। দুটি কাজই একসাথে করা সম্ভব।’
এদিকে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলে। রাজধানী তেল আবিবের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জিম্মিদের স্বজনরা। এ সময় গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিও জানানো হয়।