ভারতের কেন্দ্রীয় শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ডাকে বুধবারের এ ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে বিভিন্ন গ্রাম ও কৃষিভিত্তিক শ্রমিক সংগঠনও। জাতীয় ধর্মঘটে যোগ দিতে পারে বিভিন্ন খাতের ২৫ কোটির বেশি শ্রমজীবি মানুষ। বড় বড় ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক নীতিমালার বিরোধিতায় এ ‘ভারত বন্ধ’ কর্মসূচি করা হয়।
অনিয়মের অভিযোগ করে অবরোধকারীরা বলেন, ‘কৃষক, শ্রমিক আর গরিব জনগোষ্ঠীর স্বার্থে আঘাত করা এসব নীতিতে একতরফা লাভবান শুধু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো। রেলওয়ে, ইস্পাত শিল্প, শিক্ষাসহ নানা খাতে তরুণ পেশাজীবিদের বাদ দিয়ে বসানো হয় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। যেখানে দেড় শ’ কোটি মানুষের দেশটিতে ৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৩৫ বছরের কম। বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে।’
শ্রমজীবীদের ফোরাম জানিয়েছে, ‘সরকার গত ১০ বছরে একবারও বার্ষিক শ্রমিক সভার আয়োজন করেনি। এমনকি শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় নীতিনির্ধারণী ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হয় না।’