মৌসুমি বৃষ্টি ও এর প্রভাবে বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, সাউথ কোরিয়া ও চীন। সবচেয়ে নাজেহাল দশা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের। দেয়াল ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানায় প্রাদেশিক সরকার। আর গেল জুনের শেষ থেকে থেকে পাকিস্তানজুড়ে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে দেড়শতাধিক মানুষের।
পাঞ্জাব ছাড়াও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে লাহোর, ফয়সালাবাদ, ওকারা ও সাহিওয়ালে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর। এছাড়াও ফসলের জমি তলিয়ে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা হাজারো কৃষকের। আগামী দুই-তিন দিন এসব প্রদেশে বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ।
পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারতের বেশ কিছু রাজ্যেও দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রাজস্থানের আজমীর শহর। কয়েকটি হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পানি। এতে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘পানির উচ্চতা অনেক বেশি। রাস্তার ওপরে ২ ফুট পানি। রাস্তায় চলাচল করা খুবই কঠিন।’
অন্য একজন বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই খারাপ। হাসপাতালের প্রায় সব ওয়ার্ডে পানি ঢুকে পড়েছে।’
বন্যা কবলিতদের মধ্যে একজন বলেন, ‘হাঁটুর ওপরে পানি। রাস্তা-ঘাট চলাচলের অবস্থায় নেই। গাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে যায়।’
যমুনা ও গঙ্গার পানি বিপদৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে বন্যার আগাম সতর্কতা জারির রয়েছে। এছাড়াও হিমাচলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়াও। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটির ফসলি জমির।
এছাড়াও মৌসুমি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় বেশ কয়েকটি গ্রাম। পানির নিচে শতাধিক বসতবাড়ি। দুর্গতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছে উদ্ধারকর্মীরা।