ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহে এলাকায় শিশুদের একটি খেলার মাঠ ও আবাসিক ভবনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এভাবেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছোটাছুটি শুরু করেন পুলিশ ও সাধারণ মানুষ। নয় শিশুসহ প্রাণ যায় অন্তত ২০ জনের। স্ট্রেচারে করে নিয়ে যেতে দেখা যায় আহতদের। ভেসে আসে আহত শিশুর চিৎকার।
যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টার মধ্যে শুক্রবারের এই হামলা নতুন করে বাড়িয়েছে উত্তেজনার পারদ। সেদিনের আক্রমণের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘খেলার মাঠে মৃত শিশুরা পড়ে ছিল, বাবা-মা কাঁদছিল। ধোঁয়া বের হচ্ছিল, আক্রমণটি ভয়াবহ ছিল।’
এদিকে রোববার ইউক্রেনের আর্টিলারি ঘাঁটি ও ড্রোন কারখানাতেও সফল আক্রমণের দাবি করছে মস্কো। এছাড়া দক্ষিণ ইউক্রেনীয় অঞ্চল মাইকোলাইভে রাশিয়ার বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সুমি অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বসতিতেও আক্রমণ চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এভাবে হামলার তীব্রতা বাড়ানোয়, রাশিয়া তিন বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চায় না বলে অভিযোগ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া পূর্ণ নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। পুতিন এটি প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমরা মার্কিন প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাইনি।’
এর আগে রোববার রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোতে সাত দফা আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেনও। যার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, মুখ খুলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
রাশিয়ায় যদি সত্যি শান্তির পথে হাঁটতে না চায়, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া কিছু করার থাকবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।