গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা আল দুহাইলানের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয় মডেল মেঘনা আলমের। পুলিশের দাবি, রাষ্ট্রদূতকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পাঁচ মিলিয়ন ডলার দাবির অভিযোগেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয় মডেল মেঘনা ও তার সহযোগী সমীর দেওয়ানকে।
পুলিশ বলছে, দেশি বিদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়াই ছিল অভিনেত্রী মেঘনা ও তার সহযোগীদের প্রধান কাজ।
মেঘনা ও তার সহকারী দেওয়ান সমীরকে আদালতে তোলা হয় বৃহস্পতিবার সকালে। পরে ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় মেঘনা আলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়, আর তার সহকারী দেওয়ান সমীরকে ৫ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
এসময় শুনানি চলাকালীন অভিনেত্রী মেঘনার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিচারকের কাছে তুলে ধরলে এক পর্যায়ে আদালতে উত্তেজিত হয়ে যান মেঘনা। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত নিজেই তাকে কাছে ডাকতেন, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, 'বিদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিতে ফাঁদে ফেলতে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি, অল্প বয়সী মেয়েদের ব্যবহারের তথ্যও উঠে এসেছে মেঘনার নামে।'
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, 'এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য হিসেবে এই মেঘলা আলমকেও পাওয়া যায়। সেজন্য আজকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতের কাছে প্রার্থনা করা হয়। এরপর আদালত তাকে প্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আর সমীর দেওয়ানকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য।'
আইনজীবীর দাবি, টার্গেট ব্যক্তিকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ের মূল দায়িত্ব ছিল মেঘনার অন্যতম সহযোগী দেওয়ান সমীরের।
আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী আরো বলেন, 'সমীর দেওয়ান মেঘলার গার্লফ্রেন্ড ছিল। সে মেঘলাকে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর তারা দুইজন মিলে রাষ্ট্রদূতকে ট্র্যাপে ফেলে তার কাছে চাঁদা দাবি করে।'
মডেল মেঘনা ও তার সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।