প্রান্তিক জনপদ থেকে শুরু করে শহরের রাজপথ। ছড়িয়ে পড়েছে এনসিপির জনসম্পৃক্ত রাজনীতির বার্তা। ১৯ তম দিনে সে যাত্রা এসে পৌঁছেছে সমুদ্র শহর কক্সবাজারে।
আজ (শনিবার, ১৯ জুলাই) সকাল থেকে স্লোগান, ব্যানার হাতে জড়ো হন অসংখ্য নেতাকর্মী। সবার মুখে মুখে জুালই বিপ্লবের প্রত্যয়। নারী, পুরুষ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ পর্যটন শহরে স্বাগত জানান নাহিদ, হাসনাতদের। বিশেষ করে গোপালগঞ্জের পর এ সফরকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন অনেকে।
আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে, দ্রুত তাদেরকে ফেরত পাঠাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে নতুন করে আর কোন গডফাদার তৈরি হতে দেয়া হবে না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সংস্কার কোন দলের পক্ষে, ‘বিপক্ষে নয়, এটা রাষ্ট্রের পক্ষে। একজন মানুষ ভারতের শিলং থেকে এসে কক্সবাজারে দখল, লুটপাট করছে, তিনি সংস্কার বুঝে না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কক্সবাজারের প্রধান সমস্যা ছিল ট্যাবলেট বদি, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। নোবেলের লোভে হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কক্সবাজারকে বাঁচাতে হলে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে, এখন একটি দল সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, নির্বাচনের আগে অবশ্যই সংস্কার শেষ করতে হবে।’
এনসিপি নেতারা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়া, অভিযোগ শোনা এবং সমাধানের রূপরেখা তৈরি করার পাটাতন হবে এ পদযাত্রা।’