জাভির প্রথম জয়, ১০ জনেই দুর্দান্ত রিয়াল

রিয়াল মাদ্রিদ বনাম পাচুকা
ফুটবল
এখন মাঠে
0

ক্লাব বিশ্বকাপের নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব পাচুয়ার বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতে রিয়ালের হয়ে প্রথম জয় পেলেন কোচ জাভি আলোনসো। ১০ জনের দল নিয়েও ক্রোতোয়ার দুর্দান্ত পারফরমেন্সে দারুণ এক জয় পেয়েছে লস ব্লাঙ্কোস। অপর ম্যাচে আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।

ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে সপ্তম মিনিটে বড় এক ধাক্কা খায় রিয়াল। বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের সালোমন রন্দনকে পেছনে থেকে টেনে ফেলে দিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সেন্টার-ব্যাক রাউল আসেন্সিও।

প্রতিপক্ষে একজন কম থাকার সুযোগে চাপ বাড়ায় পাচুকা। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।

শুরুর চাপ সামলে ৩৫ মিনিটে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন বেলিংহ্যাম। ভিনিসিউসের পাস ধরে বক্সের ভেতরে ঢুকে, বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।

সাত মিনিট পর দারুণ এক নিচু শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্দা গুলের। ৭০ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে রিয়ালকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন ভালভের্দে। ডিবক্সের ভেতর ছুটে গিয়ে সতীর্থের ক্রসে দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের তারকা।

৮০ মিনিটে ব্যবধান কমান মন্তিয়েল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট রিয়ালের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না কোর্তোয়ার। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত ১০ট সেভ করেন কোর্তোয়া।

দুই ম্যাচে এক জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে 'এইচ' গ্রুপের শীর্ষে রিয়াল। ৩ পয়েন্ট নিয়ে রেড বুল সালসবুর্গ দুইয়ে, ১ পয়েন্ট নিয়ে আল হিলাল তিনে আছে। দুটিই হেরে বিদায় নিশ্চিত পাচুকার।

দিনের অন্য ম্যাচে আরব আমিরাতের ক্লাব আল আইনকে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের জি-গ্রুপ থেকে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে পেপ গার্দিওলার দল। তাদের জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়েছে য়্যুভেন্টাসেরও।

গুন্দোয়ান গোল করেন ম্যাচের নবম ও ৭৩তম মিনিটে। তার আগে আর্জেন্টাইন কিশোর ক্লাউদিও এচেভেরি ফ্রি-কিক থেকে এবং আর্লিং হালান্ড পেনাল্টি থেকে গোল করেন প্রথমার্ধেই।

শেষ ১০ মিনিটে দুই বদলি খেলোয়াড় অস্কার বব এবং নতুন সই করা রায়ান শেরকি গোল করে সিটির বড় জয় নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও য়্যুভেন্টাস ।

এসএস