জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররাও বোধহয় ম্যাচটাকে চতুর্থ দিনে নিতে চাচ্ছিলেন না। নয়তো নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাবার পরও, হাতে কোনো উইকেট না থাকার পরও এভাবে রানআউট হবেন কেন?
বাংলাদেশ, আগের ম্যাচে চার দিনে হারের পর, তিনদিনে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে। ঘরের মাঠে টানা ছয় হারের ক্ষতে প্রলেপ বুলিয়েছে ইনিংস ব্যবধানের জয় নিয়ে।
তৃতীয় দিনের সকাল থেকে সন্ধ্যা, পুরো দিনটাই বাংলাদেশের। আরও স্পষ্ট করে বললে মিরাজের। ৮ম উইকেটে তাইজুলকে নিয়ে তিনি গড়েন ৬৩ রানের জুটি। এরপর অভিষিক্ত তানজিম সাকিবকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরো ৯৬ রান।
৪১ রান আসে জুনিয়র সাকিবের ব্যাটে। তবে অবিচল মিরাজ শেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদকে সঙ্গী করে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২য় সেঞ্চুরি, খেলেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১০৪ রানের ইনিংস। তাতে দলও পায় ৪৪৪ রানের বড় সংগ্রহ।
স্কোরবোর্ডে মোটা অংকের রান, বড় লিড নিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বাংলাদেশ। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া তাইজুল এদিনও শুরুতেই দিলেন ব্রেকথ্রু। শুরুতেই তুলে নেন দুই উইকেট।
জিম্বাবুয়ের টপাটপ উইকেট তুলে নেয়ার পার্টিতে যোগ দেন নাঈম-মিরাজরাও। তবে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকানো মিরাজ যেন বল হাতে উইকেট শিকারের নেশায় মাতেন। একে একে তুলে নেন ৫ জিম্বাবুইয়ানকে।
তাতে ধসে পড়ে দলটির ব্যাটিং লাইনআপ। গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে। আর তাতে প্রায় দেড় বছর পর ঘরের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সুযোগ পেল জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ট্রফি ভাগাভাগিরও।