ট্রলারের মালিক খোরশেদ মাঝি জানান, গত শুক্রবার ৮ জন মাঝি মাল্লা নিয়ে সামরাজ ঘাট থেকে সাগরে মাছ শিকারে যান তারা। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় মাছ ধরা বন্ধ রেখে তীরে ফিরে আসছিলেন। তীরে আসার পথে রাতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। ৭ মাঝি মাল্লা সমুদ্রে সাঁতার কাটার কিছুক্ষণ পড়ে পাশে থাকা শাহাবুদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে। তবে মিজানকে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জেলেদের উদ্ধার করা শাহাবুদ্দিন জানান, গত রাত থেকে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল ছিল। এতে সাগরে থাকা সকল মাছ ধরা ট্রলার তীরে চলে আসতে থাকে। রাতে তাদের পাশে থাকা খোরশেদ মাঝির ট্রলারটি ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। পরে সাগরে ভাসতে থাকা মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসেন তারা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে একজন জেলে নিখোঁজ হয়ে পড়ায় তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নিখোঁজ মিজানুর রহমানের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে তাকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের নিজ বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সকালে সামরাজ ঘাট থেকে দুটি নৌকা নিখোঁজ জেলে মিজানুর রহমানকে খুঁজতে যায় বলে জানিয়েছেন সামরাজ ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল হোসেন। এ বিষয়ে কোস্টগার্ডকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। উদ্ধার হওয়া অধিকাংশ জেলে হাজারি গঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
হাজারিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বরত মোহাম্মদ নুরনবীর জানান, নিখোঁজ মিজানুর রহমানকে উদ্ধারের বিষয়ে কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।