নওগাঁ পৌরসভার আধুনিক স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার। ২০২২ সালের আগস্টে কাজ শেষে পৌরসভাকে পরিশোধনাগারটি হস্তান্তর করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যেখানে বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের কথা। তবে দুই বছরেও কোনো কাজে আসছে না ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারটি।
২০২০ সালে ৩০ নভেম্বর প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে নওগাঁ পৌরসভা। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগস্টে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখনো বৈদ্যুতিক লাইনসহ বেশ কিছু যন্ত্রাংশ চালু হয়নি। এতে শঙ্কা রয়েছে প্রকল্পে ব্যবহৃত মেশিন ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার।
দ্রুত প্রকল্পটি চালুর দাবি জানিয়ে একজন স্থানীয় বলেন, ‘অনেক যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা চাই দ্রুত এই প্রকল্পটি যেন চালু হয়।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা শুধু শুনি যে কাজ হবে, কিন্তু কোনো কাজ হয় না।’
এমন অবস্থায় ল্যান্ডফিলের পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্থানের আবর্জনা। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
এলাকাবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘অল্প কিছু কাজ করেই বন্ধ রেখেছে। আবর্জনা সব নিয়ে এসে এখানে রাখে। এদিক দিয়ে মানুষের চলাফেরা করা খুবই সমস্যা। বর্ষাকালে এদিক দিয়ে চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।’
জনবল সংকটের পাশাপাশি পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করার যান্ত্রিক ব্যবস্থা না থাকায় প্রকল্প চালু করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি পৌর কর্তৃপক্ষের।
নওগাঁ পৌরসভা প্রশাসক টি এম এ মমিন বলেন, ‘এটা পরিচালনার জন্য যে ধরনের টেকনিশিয়ান দরকার, তা আমাদের নেই। তবে বড় সমস্যা হল পলিথিন জাতীয় বা সলিড বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায়।’
এমন অবস্থায় পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে শ্রমিক দিয়ে আলাদা করা হচ্ছে বর্জ্য। আর শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে দ্রুত প্রকল্প চালুর দাবি পৌরবাসীর।