
পুরুষদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করছে রাশিয়া!
শুরুতে উৎসাহ দিলেও এখন পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করছে রাশিয়া। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত রুশ সেনাদের অভিযোগ, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান সংঘাতে ব্যাপক জনবল হারানোর পরেও এ কৌশল অবলম্বন করে টিকে আছে মস্কো। পাশাপাশি যেসব সেনা সদস্য আর যুদ্ধ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয়, তাদেরও ছাড়পত্র দিচ্ছে না রাশিয়া। অভিযোগ আছে, পুলিশের নজরে থাকা রুশ নাগরিকদেরও দেয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ।

পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক ঘিরে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি
ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠকের পর এবার পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠক নিয়ে উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতি। ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে নানা তৎপরতা সত্ত্বেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে দেশটির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে। জেলেনস্কি বলছেন, ইউক্রেন ও তার মিত্ররা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু এ নিশ্চয়তা আসলে কতটা বাস্তবসম্মত? আদৌ তা কার্যকর হবে কি না- তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এমনকি যুদ্ধ বন্ধ হলেও রাশিয়া ফের আক্রমণ করলে এটি কার্যকরী হবে কি না- তা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

পুতিন সহযোগিতা না করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে: ট্রাম্প
ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহযোগিতা না করলে তাকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তার প্রশ্নে দেশটিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই ওয়াশিংটনের। এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, অঞ্চল ভাগাভাগির বিষয় নিষ্পত্তি না হলে পুতিন-জেলেনস্কি আলোচনা ব্যর্থ হতে পারে।

পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ম্যাক্রোঁর
ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠককে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো ছিলো বলেও দাবি তাদের। তবে পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে আরও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর।

নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া
ইউক্রেন ইস্যুতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় নেতারা। অন্যদিকে ইউক্রেনকে নিজেদের বলে দাবি করা ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের চাহিদার তালিকা বেশ বড়। যেগুলো পূরণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হওয়ার পরও ইউক্রেনে প্রকৃত শান্তি ফেরার ব্যাপারে সম্ভাবনার চেয়ে শঙ্কাই বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা পাওয়ার পরও ২০১৪ ক্রিমিয়া দখল থেকে বোঝা যায় নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া।

রাশিয়ায় ইন্টারনেট নিয়ে আইন পাস, কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি
রাশিয়ায় ইন্টারনেটের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে সরকার। শাস্তির বিধান রেখে একটি আইন পাস করে ভিপিএনসহ হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও বিদেশি মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এমনকি বিরোধী নেতা নাভালনিকে নিয়ে অনলাইনে তথ্য ছড়ালে পড়তে হবে জরিমানার মুখে। এদিকে নিজস্ব নিয়ন্ত্রিত একটি ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে মস্কো।

দক্ষিণ ইউরোপে স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহ, প্রাণহানি বাড়ছে
স্মরণকালের ভয়াবহ তাপপ্রবাহে অতিষ্ট ইউরোপীয়দের জনজীবন। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ ইউরোপে গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। অত্যাধিক তাপপ্রবাহে বাড়ছে প্রাণহানি। এমন পরিস্থিতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

জমি পুনর্দখলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জেলেনস্কি
রুশ বাহিনী পা রাখা মানেই ওই ভূমি রাশিয়ার, এমন নীতিতে অটুট দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে ভূমি পুনর্দখলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ অবস্থায় যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠক আদৌ কাজে আসবে কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ বন্ধে রাজি না হলে ট্রাম্পের দেয়া বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি রুখে দেয়ার কৌশল হিসেবেই হয়তো আপাতত ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন পুতিন।

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকেও যুদ্ধ না থামার শঙ্কা ইউক্রেনীয়দের
ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ থামানো সম্ভব হবে না বলে শঙ্কায় ইউক্রেনীয়রা। পুতিনের কথায়-কাজে মিল নেই বলে অভিযোগও তুলে এই শঙ্কার কথা জানান তারা। অন্যদিকে সন্দিহান ও সম্ভাবনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রুশ জনগণ। আর যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে কিছু না বললেও দুই নেতার বৈঠকটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুতিনের বিনিয়োগ দূত কিরিল দিমিত্রিভ। শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপকেও পাশে চাইছে ইউক্রেন।

ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ফ্রান্সের দাবানল
রেকর্ড তাপমাত্রা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় দক্ষিণ ইউরোপে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে দাবানল। ফ্রান্সের দক্ষিণের অউডে অঞ্চলে মাত্র এক দিনে পুড়ে গেছে ১৬ হাজার হেক্টর এলাকা।