বিশেষ প্রতিবেদন
জুলাই ব্ল্যাকআউটের দিনলিপি: নিরাপত্তার ভয়ে সিম বদলে আন্দোলন চালানোর ইতিহাস

জুলাই ব্ল্যাকআউটের দিনলিপি: নিরাপত্তার ভয়ে সিম বদলে আন্দোলন চালানোর ইতিহাস

গত বছরের এই দিনে প্রথমবারের মতো স্বৈরাচারের হাতে পৃথিবী থেকে দেশ আলাদা হয়ে পড়ে ইন্টারনেট জগৎ থেকে, ব্ল্যাক আউটের মুখে পরে বাংলাদেশ। নাটক সাজিয়ে বলা হয়, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি, বন্ধ হয়ে গেছে। কী ঘটেছিল সেদিন?

শহিদ মুগ্ধ: মানবিক নেতৃত্বের অমর সাক্ষ্য

শহিদ মুগ্ধ: মানবিক নেতৃত্বের অমর সাক্ষ্য

মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত কেবল মানবিকতার বীজ বুনে গেছেন শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। শুধু পানি বিতরণ নয়, আহতদের অব্যাহত সাহায্য ও পুলিশের ধাওয়ার পরও মাঠ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত কেবল একজন উপযুক্ত নেতার মধ্যেই বিদ্যমান। যে নেতৃত্বের সাক্ষী দিচ্ছেন রণক্ষেত্রের সহযোদ্ধা ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। প্রথম শাহাদত বার্ষিকীতে মৃত্যুঞ্জয়ীকে নিয়ে থাকছে আজকের এ প্রতিবেদনে।

চব্বিশের সেই দিনের এক বছর; হলগুলো যখন ছাত্রলীগমুক্ত হলো রক্ত দিয়ে

চব্বিশের সেই দিনের এক বছর; হলগুলো যখন ছাত্রলীগমুক্ত হলো রক্ত দিয়ে

রক্তের দাগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটপাত আর দেয়ালে যে ইতিহাস লেখা হয়, তার আজ ১ বছর। ২৪ এর এদিনে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় কয়েকশো' শিক্ষার্থী। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় হলপাড়া, ভিসি চত্বরসহ আশপাশের এলাকা। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফিরে আসে কেউ কেউ। তবে, সেদিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোকে ছাত্রলীগ মুক্ত করা হয়।

ফিরে দেখা ১৪ জুলাই: আন্দোলনের অগ্রপথিক হয়ে উঠে নারী শিক্ষার্থীরা

ফিরে দেখা ১৪ জুলাই: আন্দোলনের অগ্রপথিক হয়ে উঠে নারী শিক্ষার্থীরা

২০২৪-এর ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মোড় ঘুরে যায়। সারা রাত উত্তাল থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যায় অগ্রপথিক হয়ে উঠেছিল নারী শিক্ষার্থীরা। হলের তালা ভেঙে মিছিলে নেমে আসে তারা। ছাত্রদের সাহস হয়ে ভিসি চত্বরে অবস্থান নেয় নারীরা। সেখানে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ ও পতিত সরকারের বাহিনী। এতে আন্দোলন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, পরিণত হয় ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে। নারী জাগরণের মধ্য দিয়ে আন্দোলন পায় নতুন মাত্রা। সেই স্লোগানের উত্তাপ এনে দেয় নতুন বাংলাদেশ, ৩৬ জুলাই।

১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট: জাবিতে গুলি-মরদেহের ইতিহাস

১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট: জাবিতে গুলি-মরদেহের ইতিহাস

শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে সর্বপ্রথম ছাত্রলীগমুক্ত ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। তবে এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার ওপর অনবরত গুলি চালায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ ইয়ামিনকে পুলিশের এপিসি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর দৃশ্য দেখে কেঁদেছিল দেশবাসী। আশুলিয়ার মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা ইতিহাসে বিরল। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অনৈক্যের সুর দেখছেন জুলাই যোদ্ধারা।

বছর ঘুরতেই মুছে ফেলা হয়েছে চব্বিশের গণআন্দোলনের দেয়াল গ্রাফিতি

বছর ঘুরতেই মুছে ফেলা হয়েছে চব্বিশের গণআন্দোলনের দেয়াল গ্রাফিতি

দেয়ালে দেয়ালে মুক্তির বারতা। স্বৈরাচার পতনের লেখনীতে অগ্নিশিখা। চব্বিশের গণআন্দোলনে যেন বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল দেয়ালের গ্রাফিতি। তবে বছর ঘুরতেই প্রতিবাদের অনেক চিহ্ন বদলে গেছে। কোথাও কোথাও মুছে ফেলা হয়েছে গ্রাফিতি। জুলাইয়ের স্পন্দন আর চেতনার গ্রাফিতি বদলে না ফেলার আহ্বান সবার কণ্ঠে।

নির্বাচন ঘিরে সংসদীয় সীমানায় আসছে পরিবর্তন!

নির্বাচন ঘিরে সংসদীয় সীমানায় আসছে পরিবর্তন!

২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের আগে ব্যাপক তছনছ করা হয়েছে সংসদীয় আসনের সীমানা। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগকে সুবিধা দিতে তাদের মনমতো সীমানা সাজিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার সতর্কতার সঙ্গে সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। এ নিয়ে বিগত সময়ের তুলনামূলক বিবরণী প্রস্তুত করছে নির্বাচন কমিশন।

কেমন ছিল চব্বিশের বাংলা ব্লকেডের দিনগুলো

কেমন ছিল চব্বিশের বাংলা ব্লকেডের দিনগুলো

চব্বিশের ৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই দিনটিতে বিক্ষোভ শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, স্ফুলিঙ্গের মতো ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে। বাংলা ব্লকেডের গ্রহণযোগ্যতা ও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের এ কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই জুলাই বিপ্লব তার পথ খুঁজে পেয়েছিল। ব্লকেডের দিনগুলো কেমন ছিল তা নিয়েই আজকের এ প্রতিবেদন।

কেমন ছিল মাতুয়াইল-শনির আখড়া এলাকায় জুলাইয়ের দিনগুলো?

কেমন ছিল মাতুয়াইল-শনির আখড়া এলাকায় জুলাইয়ের দিনগুলো?

জুলাইয়ে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় রাজধানীর মাতুয়াইল, শনির আখড়া, দনিয়া এলাকা। এসময় মূল সড়কের দু’পাশের গলিগুলো রক্ষাকবচ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতার জন্য। বাসিন্দাদের কাছে সেসময়ে ঘটা নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দুর্বিষহ দিনগুলো স্মৃতির পাতায় দগদগে ক্ষত হয়ে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করতে থাকলে প্রতিরোধের ঢাল হয়ে ছাত্রদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে এখানকার অধিবাসীরা। ফলস্বরূপ জুলাই বিপ্লবের স্ট্যালিনগ্রাদে পরিণত হয় এসব এলাকা।

হোসেনি দালানে বোমা হামলা: দশ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ

হোসেনি দালানে বোমা হামলা: দশ বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ

দশ বছরেও শেষ হয়নি হোসেনি দালানে বোমা হামলা মামলা। ১০ বছর ও ৭ বছর করে দণ্ড দেয়া দুই আসামির আপিল শুনানি দ্রুত শেষ করার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ। তাজিয়া মিছিলের আয়োজকরা বলছেন, বোমা হামলার পর স্থিমিত হয়ে পড়ে পুরো আয়োজন। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেই আহ্বান তাদের। পুলিশ বলছে, আসন্ন আয়োজনে হামলার কোন শঙ্কা নেই।