কাগজ-কলমে চট্টগ্রাম নগরে খালের সংখ্যা ৫৭। তবে ক্রমাগত দখল-দূষণে এখন ৩৬টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যেগুলো খনন ও সংস্কারে চলছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চার প্রকল্প। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গেলেও তেমন কোনো সুফল পায়নি নগরবাসী।
এ অবস্থায় প্রকল্পের বাইরে থাকা বা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া বিভিন্ন খাল খননে সেবা সংস্থার সহযোগী হিসেবে এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলগুলো। শুক্রবার নগরের কাট্টলিতে মৃতপ্রায় নাজির খাল ও কালির ছড়া খালে স্বেচ্ছাশ্রমে খনন কাজের উদ্বোধন করে বিএনপি। এক মাসের এই কার্যক্রমে অংশ নিবে দলের ৭০০ নেতাকর্মী।
বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর আলম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৭০০ কর্মী কাজ করবে। এবং সাথে সাথে স্কেভেটর আছে। সবকিছু মিলে আমাদের নেতাকর্মীরা এ কাজে সম্পৃক্ত হয়েছেন।’
খাল খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, খালগুলো ঘিরে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তাই কোনো সুফল মেলেনি।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অনেকগুলো খাল কিন্তু ভরে গেছে। অনেকগুলো খাল দখল হয়েছে, আংশিক দখল হয়ে গেছে। এগুলো মুক্ত করে সত্যিকার অর্থে সরকারি যে খালগুলো ছিল সেগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।’
এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সিডিএ'র প্রকল্পের বাইরে থাকা ২১টি খাল ও এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার নালা খননে সরকারের কাছে ৩৯৮ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন ফান্ডিংয়ের জন্য কথা বলছি। যেন আমরা ২১টি খাল স্থায়ীভাবে সংস্কার করতে পারি। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’
খাল খনন ঘিরে নগরে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নগরবাসীরাও। এসব কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নগরের মৃতপ্রায় খাল নালা যাতে প্রাণ পায় এমন প্রত্যাশা তাদের।