
পর্যটক টানতে আবাসিক ভবনকে মৌমাছির অভয়ারণ্য রূপ দিলেন সৌদি তরুণ
পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পরিবার নিয়ে বসবাস করা ভবনকেই মৌমাছির অভয়ারণ্য রূপ দিয়েছেন সৌদি আরবের এক তরুণ। যেখানে একইসঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জন ও বাহারি মধুর স্বাদ নিতে ছুটে যাচ্ছেন দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীরা। মাত্র ৪ বছরে ১০০টি দেশের অন্তত ১২ লাখ দর্শনার্থী ঘুরে দেখেছেন আসির প্রদেশের হানি কটেজটি। এর মধ্য দিয়ে পর্যটন খাত সমৃদ্ধ করতে সৌদি আরব সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে অবদান রাখতে চাইছেন ওই উদ্যোক্তা।

চট্টগ্রামে সাগরপাড়ে বিলাসবহুল সরকারি অতিথিশালা, মাসে লোকসান ১৫ লাখ টাকা
কথায় আছে, ‘সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল’। এ প্রবাদেরই যেন এক জ্বলন্ত উদাহরণ চট্টগ্রামের সাগরপাড়ে ৪০০ কোটি টাকা খরচে নির্মাণ করা এক রাজকীয় অতিথিশালা। বিলাসবহুল ও আন্তর্জাতিক মানের এ হোটেল থেকে মাসে কোটি টাকা আয় সম্ভব অথচ সিদ্ধান্তের অভাবে নির্মাণের এক বছরেও চালু হয়নি। উল্টো প্রতি মাসে ১৫ লাখ টাকা লোকসান গুণছে সরকার। সম্প্রতি প্রকল্পটি ঘুরে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা জানান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

কাপ্তাই হ্রদের ঝুলন্ত সেতু ২৪ দিন ধরে ডুবে, পর্যটক চলাচল বন্ধ
বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় ২৪ দিন ধরে তিন ফুট পানির নিচে ডুবে আছে রাঙামাটি পর্যটনের আইকন ঝুলন্ত সেতু। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতুতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সেতু ভ্রমণ বন্ধ থাকায় দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। তবে সেতু কর্তৃপক্ষ বলছেন, পানি সরে গেলেই উন্মুক্ত করা হবে পর্যটক চলাচল। প্রতি বছর সেতু ডুবে যাওয়া রোধে সেতুটি আরও উঁচুতে স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে ক্রিমিয়া!
ক্রিমিয়ায় সম্প্রতি বেড়েছে রুশ পর্যটকদের আনাগোনা। ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে পছন্দের অনেক দেশে যেতে না পারা এবং দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় ভ্রমণ ব্যয় কম হওয়ায় ক্রিমিয়াকে পছন্দের শীর্ষে রাখছেন ভ্রমণপিপাসুরা। এছাড়া গত ডিসেম্বরে তেলবাহী ট্যাঙ্কার লিকেজে রাশিয়ার অন্যতম পর্যটন এলাকা ক্রাসনোদার এখনও স্বাভাবিক অবস্থায় না ফেরাও অন্যতম কারণ। এতে করে ক্রাসনোদারে পর্যটন ব্যবসায়ীরা মন্দার কবলে থাকলেও বেশ লাভবান হচ্ছেন ক্রিমিয়ার ব্যবসায়ীরা।

হিমালয়ের ৯৭টি পর্বতচূড়ায় বিনামূল্যে আরোহণের সুযোগ
প্রত্যন্ত অঞ্চলে পর্যটন বাড়াতে আগামী দুই বছরের জন্য হিমালয়ের ৯৭টি পর্বতচূড়ায় বিনামূল্যে আরোহণের সুযোগ দেবে নেপাল। নেপালের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, তারা আশা করছে এই উদ্যোগ দেশের অনাবিষ্কৃত পর্যটনস্থল মানুষের কাছে তুলে ধরবে।

পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ায় রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ৪ ইঞ্চি তলিয়ে গেছে রাঙামাটির পর্যটনের আইকন ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন। এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সেতু ভ্রমণে আজ (বুধবার, ৩০ জুলাই) সকালে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নোটিশ টানিয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ক্ষোভ ও হতাশা জানিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতি বছর সেতু ডুবে যাওয়া রোধে সেতুটি আরও উঁচুতে স্থাপনের দাবি জানিয়েছে দর্শনার্থীরা। এতে দৈনিক ২০-৩০ হাজার টাকা রাজস্ব আয় বঞ্চিত হবে সরকার।

বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা; লামায় ৭৫ পর্যটন রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বান্দরবানের লামায় পাহাড় ধসের শঙ্কায় সব পর্যটন রিসোর্ট ফের বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকে উপজেলার ৭৫টি রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সীমান্ত সড়কে বদলে যাচ্ছে পাহাড়ের বাংলাদেশ
তিন পার্বত্য জেলায় এক সড়কই পাল্টে দিচ্ছে ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার সীমান্ত জনপদের চেহারা। পাহাড়ের যোগাযোগ, কৃষি, বাণিজ্য আর শিক্ষায় তৈরি করেছে নতুন সম্ভাবনার আলো। সেনাবাহিনী বলছে, এ সড়ক ধরে সামনে এসেছে নতুন এক বাংলাদেশ। সম্ভাবনা কাজে লাগাতে দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে, বাড়াতে হবে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

মেঘে ভাসা পাহাড়ি স্বর্গে খুলছে সীমান্তপথ
তিন পার্বত্য জেলার দুর্গম সীমান্ত এলাকা, এখনও অদেখা এক বাংলাদেশ। যেখানে মেঘের ভেলায় পাহাড় ভাসে। সবুজ প্রকৃতি, বুনো হাওয়া, ঝর্ণাধারা আর পাহাড়ি জীবন মিলে তৈরি হয়েছে এক টুকরো স্বর্গভূমি। বলা যায় শিলং, দার্জিলিং বা কাশ্মীরের প্রতিচ্ছবি। যদিও কয়েক হাজার ফুট উচ্চতায় এ সৌন্দর্য এখনও অধরা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে। তবে এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক শিগগিরেই খুলে দিচ্ছে সে পথের দুয়ার।

পর্যটন ব্যবসায় ধ্বংসের মুখে টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য
সম্পদ আর সৌন্দর্যে ভরপুর টাঙ্গুয়ার হাওর। নিয়ম অনুযায়ী এই হাওরের জলাভূমি চিহ্নিত করে মাছ এবং পাখির নিরাপদ আবাসস্থল তৈরি করার কথা থাকলেও পর্যটন ব্যবসার নামে ধ্বংস করা হচ্ছে হাওরের জীববৈচিত্র্য। ফলে টাঙ্গুয়ার হাওর বয়ে যাচ্ছে মরণের পথে। তবে, হাওর বিশেষজ্ঞ ও সুনামগঞ্জের সচেতন মহল বলছেন, টাঙ্গুয়ার এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী প্রশাসন।