ঢাকায় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন, যিনি একবারের জন্যও ফুডপান্ডা বা পাঠাও ব্যবহার করেননি।
তবে এই স্টার্টআপগুলো কি সত্যিই সফল?—এমন প্রশ্নের জবাব মেলাভার। স্টার্টআপ তহবিলের বাস্তবতার খোঁজ নেয়া প্রতিষ্ঠান লাইটক্যাসল পার্টনার্সের তথ্য বলছে, দেশি স্টার্টআপগুলো তুলনামূলক ভালো। দেশে এক হাজার ২০০-র বেশি সক্রিয় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান আছে। প্রতিবছর আরও ২০০ প্রতিষ্ঠান বাজারে আসছে।
দেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান 'বিকাশ'। ২০১১ সালে বাজারে আসা এই স্টার্টআপ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডার হিসেবে অনেকটা সফল।
তাহলে কেন অন্য স্টার্টআপগুলো শুরুর পরেই সেবা বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে? তাদের কি সাফল্যের জন্য আরও সময় বা অনুকূল পরিবেশ দরকার? এমন সব প্রশ্নের উত্তর উঠে এসেছে ঢাকায় শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের স্টার্টআপ কানেক্ট সেশনে। যেখানে উঠে আসে স্টার্টআপ বা নতুন উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো। অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়, মাথাপিছু স্টার্টআপ তহবিল কিংবা এসবের পেছনে অর্থছাড়, সবদিক থেকে সিঙ্গাপুর, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশ থেকে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
তাদের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু নতুন উদ্যোগে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র শূন্য দশমিক দুই বিলিয়ন। যেখানে ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪১ মিলিয়ন ডলার। যা মোট দেশজ উপাদান বা জিডিপির দশমিক শূন্য এক শতাংশ। ইন্টারনেটের গতির কারণে প্রান্তিকপর্যায়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এই খাত, যাকে গতিশীল করতে নিরবচ্ছিন্ন ও ইন্টারনেট সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক সহকারী।
সংস্কারের মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে উন্নত করাই বিডার প্রাথমিক উদ্দেশ্য বলে উল্লেখ করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান। বছর বছর লাইসেন্স নবায়নের জটিলতাও দূর করার আশ্বাস দেন তিনি।
নতুন উদ্যোক্তাদের মূলধন সহায়তার জন্য ৮০০-৯০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেটা বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
এছাড়া স্টার্টআপদের যেকোনো পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া এ বিনিয়োগ সম্মেলন চলবে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পর্যন্ত।