বিশ্বে সিম কার্ড যেভাবে আসলো

প্রযুক্তি সংবাদ
তথ্য-প্রযুক্তি
0

জার্মান ভিত্তিক কোম্পানি জিৎসেক অ্যান্ড ডেভ্রিয়েন্ট ১৯৯১ সালে প্রথম আবিষ্কার করে সিম কার্ড বা সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিফিকেশন মডিউল (এসআইএম)। জার্মানির মিউনিখ শহরে প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতর ছিল। প্রতিষ্ঠানটি সিম কার্ড তৈরি করলেও প্রতিষ্ঠানের কে বা কারা এই যুগান্তাকারী আবিষ্কারের সাথে জড়িত ছিল তা জানা যায়নি।

বিশ্বে প্রথম যে সিম কার্ড ছিল তার আকৃতি আজকের আধুনিক সিম কার্ডের মতো ছিল না। এটি দেখতে অনেকটা এটিএম কার্ডের মতো ছিল।

|undefined

প্রথম দিকের সিম কার্ড দেখতে প্রায় এটিএম কার্ডের মতো ছিল।

তবে সিম কার্ডের বাজারজাত না করে জার্মান কোম্পানিটি তাদের এই আবিষ্কার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ৩০০টি সিম কার্ড ফিনল্যান্ডের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান রেডিওলিনজার কাছে বিক্রি করে দেয়।

পরবর্তীতে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্মার্ট সিম কার্ড বাজারে  আনতে শুরু করে।

|undefined

মিনি সিম কার্ড।

১৯৯৬ সালের দিকে মোবাইল ফোনে প্রথম মিনি সিম কার্ডের ব্যবহার শুরু হয়।

পরবর্তীতে ২০০৩ সালে ছোট আকারে নতুন সংস্করণের মাইক্রো সিম কার্ড বাজারে আনা হয়।

|undefined

২০১০ সালে প্রথম মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের আইফোনে এই মাইক্রো সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়। 

দিন যত যাচ্ছে প্রযুক্তি তত উন্নত হচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই সময়ে মাইক্রো সিম কার্ডের চেয়েও আরও ছোট ন্যানো সিম কার্ড বাজারে  আসতে শুরু করে। ২০১৪ সালের পর প্রায় সব স্মার্টফোনেই ন্যানো সিম  কার্ড ব্যবহার শুরু হয়।

|undefined

ন্যানো সিম কার্ড।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডিভাইসে এই সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়। যার মাধ্যমে সারা বিশ্বে যোগাযোগের এক বিশাল নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিএমএ) জানায়, শুধু ২০১৬ সালেই বিশ্বে ৫.৪ বিলিয়ন সিম কার্ড তৈরি করা হয় এবং ৬.৫ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন করে প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

সেজু