বিশ্লেষকদের শঙ্কা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রেন ড্রেইনের শিকার হবার পথে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাগ্রহণের পরই নির্বাহী আদেশে বন্ধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তর। স্থগিত করা হচ্ছে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল।
সাউদার্ন মেথোডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ম্যাথিউ উইলসন বলেন, 'মার্কিন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল কমিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই তহবিলের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। কারণ এর মাধ্যমেই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। অধিকাংশ বিদেশি শিক্ষার্থীই যুক্তরাষ্ট্রে আসেন ফুল টিউশন ফিতে। তাদের অর্থেই পরিচালিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হলে মার্কিন শিক্ষার্থীদের জন্য বেড়ে যাবে টিউশন ফি।'
এ বিষয়ে ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চার্লস কুক বলেন, 'বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফুল টিউশন ফি প্রদান করায় বড় অঙ্কের তহবিল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তাই তাদের ভর্তি বন্ধ হলে মার্কিন শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়বে। এটি শতভাগ নিশ্চিত।'
তিনি বলেন, 'ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে উদারপন্থী ও প্রগতিশীলদের প্রজননকেন্দ্র মনে করেন। তারা মাগা নীতির বিরোধী। তাই প্রজনন কেন্দ্রে ব্যাঘাত ঘটালে উদারপন্থীর সংখ্যা কমবে।'
ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির কারণে চাকরি হারিয়েছেন অসংখ্য মার্কিন বিজ্ঞানী ও গবেষক। উচ্চ বেতনে তাদের টেনে নিচ্ছে কানাডা, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও আমেরিকার বদলে পাড়ি দিচ্ছেন ইউরোপ ও এশিয়া। ১৯৮০ সালে পর্দা কাঁপানো সত্যজিৎ রায়ের ধ্রুপদী চলচ্চিত্র 'হীরক রাজার দেশে' ৪৫ বছর পর রূপ নিলো বাস্তবে। হীরক রাজার মতো শিক্ষার আলো নিভিয়ে দিতে আগ্রহী ডোনাল্ড ট্রাম্প।