নাসার প্রশিক্ষিত অভিজ্ঞ মহাকাশচারী ৫৯ বছর বয়সী সুনিতা উইলিয়ামস এবং ৬১ বছর বয়সী বুচ উইলমোর। বোয়িং মিশনে, উইলমোর কমান্ডার আর সুনিতা ছিলেন পাইলট। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এটি ছিল তাদের তৃতীয় সফর।
গেল বছরের জুন মাসে তাদের বহনকারী বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকা পড়েন এই দুই নভোচারী। তাদের ৮ দিনের সফর এরই মধ্যে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ মাসের ওপরে। তাদের মিশনের উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশে নভোচারীদের পরিবহনের জন্য বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশযান তৈরির বিষয়ে গবেষণা করা। নানা জল্পনা-কল্পনার পর তাদের ফিরিয়ে আনতে তোড়জোড় শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন।
নাসার উদ্যোগে ক্রু-টেন মিশনে করে এরই মধ্যে চার নভোচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। এখন নভোচারী অদলবদলের অংশ হিসেবে স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে প্রবেশ করেন সুনিতা ও উইলমোর। নাসা জানিয়েছে, ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে আগামীকাল (বুধবার, ১৯ মার্চ) ভোরে।
গেল আগস্টে তাদের ফিরিয়ে আনতে নাসার উদ্যোগে উৎক্ষেপণ করা হয় ক্রু ড্রাগন-নাইন। তখন তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনলে মহাকাশ স্টেশনে কেবল একজন নভোচারী থাকত। এতে গবেষণা ও জরুরি কাজে ব্যাঘাত ঘটার শঙ্কা দেখা দেয়। এবার, ক্রু-টেনের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তে চার নভোচারী মহাকাশ স্টেশনে আছেন।
সাধারণত ছয় মাস পর পর মহাকাশচারীদের প্রতিস্থাপন করা হয়। এর আগেও মহাকাশে নভোচারীদের দীর্ঘ সময় আটকে থাকার উদাহরণ আছে। ২০২২ সালে মার্কিন নভোচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও রেকর্ড ৩৭১ দিন মহাকাশে ছিলেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও তহবিলের ঘাটতির কারণে নভোচারীদের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত হওয়ার নজির আছে।