হীরা বাণিজ্যে রাশিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা

অর্থনীতি , বিশ্ব অর্থনীতি
বিদেশে এখন
0

ইউক্রেনে অভিযানের জেরে কয়লা ও গ্যাসের মতো হীরা বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে দুর্বল করতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বিশ্বের বৃহত্তম হীরা উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া। ২০২১ সালে ৪শ' কোটি ডলারের বেশি মূল্যের হীরা রপ্তানি করেছিল দেশটি। তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালে সেই পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৩শ' ৮৬ কোটি ডলারে।

রপ্তানিতে সামান্য ভাটা পড়লেও গতবছর ৫৭টি দেশের মোট হীরা বাণিজ্যের অর্ধেকই দখলে রেখেছিলো মস্কো। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন মনে করে হীরা খাতে প্রতি বছর রাশিয়ার বাণিজ্য মূল্য গড়ে প্রায় ৪শ' ৫০ কোটি ডলার। মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ এই রাজস্ব খাতের গতিরোধের চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

জি-সেভেন জোটের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই ১২ দফা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ান হীরা যোগ করা হয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির। রাশিয়া থেকে হীরা আমদানি, পুনঃরপ্তানি বা লেনদেনে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই।

|undefined

২০২২ সালে বিশ্বে হীরা উত্তোলনের পরিমাণ

তবে তৃতীয় দেশে পলিশ করা রাশিয়ান হীরা আমদানি-রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এতে বিশ্ববাজারে হীরা বাণিজ্যে রাশিয়া পিছিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ অবস্থায় হীরা বাণিজ্যের জন্য এরইমধ্যে চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্মেনিয়া ও বেলারুশের মতো বিকল্প বাজারমুখী রাশিয়া। এমনকি তাদের হীরা রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটাতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। আগে থেকেই এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকায় নিষেধাজ্ঞা কাজে আসবে না বলে জোর দাবি করেন তিনি।

এদিকে বাণিজ্য সতর্ক বার্তায় বেলজিয়াম বলছে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ হীরাই তাদের এন্টওয়ার্প বন্দর দিয়ে বাজারজাত হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে চোরাইপথে রুশ হীরার বাণিজ্য বেড়ে যাবে।

এতে এন্টওয়ার্পের পরিবর্তে হীরা বাণিজ্য চাঙ্গা হবে দুবাইয়ে। পাশাপাশি রুশ হীরার বড় গন্তব্য হয়ে উঠবে চীন ও ভারতের মতো দেশ। নিষেধাজ্ঞার কারণে পুরো ইউরোপের হীরার বাজারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে দাবি ব্রাসেলসের।