'রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে'

অর্থনীতি , পরিষেবা
বাজার
0

ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করলে এবার রোজায় কোন পণ্যের সংকট হবে না। পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এবার ঢাকা মহানগরের ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে মতবিনিময় করলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক বলেছেন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রমজানে পণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এবার পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। বাজার সহনীয় রাখতে ব্যবসায়ীদের কারসাজি না করার অনুরোধ করেন তিনি।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'দুইদিনে যদি আপনারা সারা মাসের বাজারটা করে ফেলেন তাহলে সরবরাহে ধস নামবে। যখন বাজারে চাহিদার চেয়ে যোগান কম হয়ে যায় তখন কতিপয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। ব্যবসায়ী ও বাজার সমিতিকে আমার পাশে চাই।'

তবে মহাপরিচালকের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি খুচরা ব্যবসায়ী নেতাদের। বরং বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কৌশলে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলে বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, 'যারা বাজার কমিয়ে দেন তাদেরকে নজরে আনতে হবে। তবে এইগুলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাজ নয়। তারা দশ টাকায় কিনে সাড়েদশ টাকা বিক্রি করে।'

এফবিসিসিআই'র পরিচালক হাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন, 'একদিকে ডলারের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি স্থলবন্দর থেকে শতভাগ মাল কিনতে গেলে দীর্ঘদিন অপেক্ষার লাইনে থাকতে হয়। তারপর একটা এলসি করতে পারি। এটার শতভাগ টাকা বিনা লাভে আমাদের ব্যাংকে রাখতে হয়।'

খুচরা পর্যায়ে যেন কোন ভাবেই দাম না বাড়ে সে বিষয়ে বিক্রেতাদেরও সতর্ক থাকার তাগিদ ব্যবসায়ী নেতাদের। প্রয়োজনে কারসাজির তথ্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে জানানোর অনুরোধও জানানো হয়।

প্রসঙ্গত রোজার মাসের আগেই বাজারে চিনি, তেল, ছোলা ও ডালের মত পণ্যের দর অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া কয়েক বছর ধরে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে প্রতি রমজানের আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণের হাঁকডাক দেয়।

এএইচ