ইলিশের দামে আগুন, মণ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা

এখন জনপদে
দেশে এখন
0

পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। আজ (বুধবার, ৯ এপ্রিল) বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ৩০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দরে।

এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা দরে। মাঝারি আকৃতির ইলিশের মণ (৭০০-৮০০ গ্রাম) বিক্রি করা হয় ৭৫ থেকে ৯০ হাজার টাকা।

ইলিশের দামের একই অবস্থা তালতলীর ফকিরহাট ও চরদুয়ানি মৎস্য উপকেন্দ্রসহ স্থানীয় বাজারে। তবে স্বাদ ও চাহিদার পার্থক্য অনুযায়ী বরগুনার পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও আন্দারমানিক নদীর ইলিশের দামের থেকে সমুদ্রের ইলিশ দাম মণ প্রতি আট থেকে দশ হাজার টাকা কম।

এদিকে স্থানীয় খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় ইলিশের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

খুচরা বিক্রেতা নান্না মিয়া জানান, 'সাগরের ইলিশ নাই বাজারে, গাঙ্গেও এহন তেমন একটা ইলিশ পায় না জাইল্লারা। যদি দুই-একটা বড় ইলিশ পাই দুই হাজার ৮০০ থেকে তিন হাজার টাহায় বেইচা দেই।'

পহেলা বৈশাখের আগে ইলিশের নাগাল না পাওয়ায় হতাশ ক্রেতারা। এদিকে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ইলিশ সিন্ডিকেট গড়ে না ওঠে সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা জানান, সমুদ্রগামী জেলেরা পরিবারের সাথে ঈদ কাটাতে বাড়িতে এসেছিলেন, ঈদের পর পুনরায় তারা আবার সমুদ্রাভিমুখী হয়েছেন। তাদের ফিরতে সাত থেকে দশ দিন সময় লেগে যায়। যখন জেলেরা ফিরবেন তখন ইলিশের দাম স্বাভাবিক হবে।

ট্রলার মালিক মনিরুল ইসলাম মাসুম বলেন, 'ইলিশ কম পাওয়ার অন্যতম কারণ ট্রলিং ট্রলার। অবৈধ ট্রলিংয়ে নির্বিচারে মাছ মারায় নদ-নদীতেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নেই। এদিকে বরগুনায় নির্বিচারে চলে রেণু শিকার। এগুলো দেখার যেন কেউ নেই।'

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'বর্তমানে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ চলছে, অবৈধ জেলেরা যাতে জাটকা নিধন না করতে পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্রগামী জেলেরা ফিরে এলেই ইলিশের বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশা করি।'

এসএস