জাতীয় নির্বাচক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়ালেন হান্নান সরকার

ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

কোনো চাপ নয়, ভবিষ্যতের কথা ভেবেই কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। কোচিং দিয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অবদান রাখতে চান জাতীয় দলের সাবেক এই ক্রিকেটার।

দেশের ক্রিকেটে একের পর এক ঘটনায় উত্তেজনা চরমে। বিপিএলের ১১তম আসরে পারিশ্রমিক আর ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর এবার খবরের শিরোনামে নির্বাচক হান্নান সরকারের আকস্মিক পদত্যাগ।

গেল বছরের মার্চে দায়িত্ব নেয়ার ১২ মাসের আগেই হান্নানের এমন সিদ্ধান্ত সাড়া ফেলেছে ক্রিকেটাঙ্গনে। প্রশ্ন উঠেছে বাইরের চাপেই কি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন সাবেক এ ক্রিকেটার? রোববার বেলা বাড়ার সঙ্গে তাই টাইগার নির্বাচকের বাসভবনে ভিড় করে গণমাধ্যমকর্মীরা। সেখানেই খোলাসা করেছেন কী কারণে ছেড়েছেন নির্বাচকের দায়িত্ব।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, ‘এটা হুট করে কোনো প্ল্যান না। এটা অনেক দিন থেকে আমার প্ল্যান ছিল। আমি আন্ডার নাইনটিন ২৪ থেকে ফেরার পর পরই প্ল্যান ছিল কোচিংয়ে যাওয়ার। যখন হঠাৎ করে ন্যাশনাল সিলেকশন যোগ দেয়ার সুযোগ এলো তখন সেখানে গিয়েছিলাম। আমি ক্রিকেট বোর্ড থেকে শতভাগ সার্পোট পেয়েছি।’

দেশের ক্রিকেটে কোচ সালাউদ্দিন-সোহেলদের সংযুক্তি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে হান্নান সরকারকেও। এছাড়া বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের চাওয়ায় কোচিং ক্যারিয়ারে ফেরার তাড়না খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

হান্নান সরকার বলেন, ‘সম্প্রতি সালাউদ্দিন ভাইকে মূল্যায়ন করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া সোহেল ভাইকে টাইগারদের হেড কোচ করে বিদেশি কোচ না দিয়ে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, দেশি কোচদের মূল্যায়নটা আমি দেখতে পারছি। আর আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি যদি ভালো কাজ করতে পারি এবং ভালো ইম্প্রুভমেন্ট ধরে রাখতে পারি সঙ্গে কমিউনিকেশন ভালো রাখতে পারি, তাহলে দেশি কোচের মূল্যায়নটা হবে।’

তিনি বলেন, ‘উনাদের দেখে আমি বাড়তি উৎসাহ পেয়েছি। আগের এইচপিতে আমি দুই সপ্তাহ মতো ব্যাটিং কোচ হিসেবে কাজ করেছি। যদিও তখন আমি আন্ডার নাইনটিনের সিলেক্টর। একটা স্লট ছিল আমি আসব বলেই গেম ডেভেলপমেন্ট থেকে আমাকে পারমিশন দেয়া হয়েছিল। সবার সঙ্গে আমার ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে কোচিংয়ে গেলে সেটা আরো উন্নত করার সুযোগ থাকবে।’

এ সময় ১২ মাসের নির্বাচক ক্যারিয়ারে নিজের প্রাপ্তি ও অপূর্ণতার কথাও জানিয়েছেন হান্নান সরকার।

হান্নান সরকার বলেন, ‘এই ১ বছরের নির্বাচক ক্যারিয়ারে বড় কয়েকটা ঘটনা বলে থাকেন সেটা হবে সাকিব ও তামিমের অবসরের বিষয়টি। মাহমুদুল্লাহ ডিফরেন্ট ফর্মেটে অবসরে আসতে পারে। আমার মনে এ বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে সমাধান হয়েছে। আগে আমরা দেখেছি অনেকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। আমাদের সময় সেটা সমঝোতার মাধ্যমে করেছি। অবশ্যই এটা তাদের কল ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তবে আমাদের সাথে আলোচনা করে যখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তখন সুন্দরভাবে সব হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, সাকিব সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে হোমে খেলে যেভাবে অবসর নিতে চেয়েছিল সেটা হলে ভালো হতো। এটা আমার আফসোস থেকে গিয়েছে। ওই টিমটা আমি করেছিলাম।’

এএম