
ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে, অভিযোগ হামাসের
গাজায় অবস্থানরত জিম্মিদের মুক্তিসহ যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটির দাবি, কোনো চুক্তি না হলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করছেন, শিগগিরই আরও ১০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এদিকে, শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতভর ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরও ৫১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরইমধ্যে ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। অন্যদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহকে ট্রাম্প অস্ত্র সমর্পণের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সংগঠনটির প্রধান নাইম কাসেম।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইতিবাচক হামাস ও ইসরাইল, আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রও
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতির কথা জানিয়েছে হামাস ও ইসরাইল। এ ব্যাপারে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্রও। তবে গাজায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি পরিকল্পনা ও যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও একদিনে ৮২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইল। হাসপাতালের সামনে পুষ্টি সহায়তা নিতে এসে ৮ শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৬ জন।

'জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে আলবানিজ অযোগ্য'
গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে একদিনে শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। তবে, উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে ১০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। নেতানিয়াহু বলছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি আছে ইসরাইল। এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আশাবাদী ট্রাম্প। এদিকে, ইসরাইলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘের বিশেষ দূতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, 'জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে আলবানিজ অযোগ্য।' এছাড়া, লোহিত সাগরে হুতিদের হামলায় একটি জাহাজ ডুবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি; ১০ জিম্মি মুক্তিতে রাজি হামাস
ফিলিস্তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস। তবে তারা সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের অসহযোগিতার কারণে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা কঠিন হয়ে উঠেছে।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহু দ্বিতীয় বৈঠকেও উপেক্ষিত গাজার যুদ্ধবিরতি
২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকে উপেক্ষিত ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যু। বরং জোর দেয়া হয় জিম্মিদের মুক্তির প্রসঙ্গে। আলোচনার মধ্যেই উপত্যকায় একদিনে আরও ৯৫ ফিলিস্তিনে হত্যা করেছে ইসরাইল। গণহত্যা ইস্যুতে সরব ফরাসি প্রেসিডেন্ট। এদিকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে স্পেনের জাতীয় আদালত।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক আজ
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আজ (সোমবার, ৭ জুলাই) বৈঠকে বসবেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তাদের সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন ট্রাম্প। যদিও কাতারে প্রথম দফার হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা আরও ১০জনসহ গতকাল (রোববার, ৬ জুলাই) ৮২ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত জিএইচএফ পরিচালিত স্থানে ত্রাণ নিতে গিয়ে কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি হত্যার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় তীব্র হামলা ইসরাইলের
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক জবাব দিয়েছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরাইল। গতকাল (শুক্রবার, ৫ জুলাই) দিনভর হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩৮ ফিলিস্তিনি। বিপরীতে হামাসের হামলায় নিহত দুই ইসরাইলি সেনা।

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে হামাস
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে হামাস। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

হামাস চায় চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতি; গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত
চিরস্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চাইছে হামাস। ২-১ দিনের মধ্যেই মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। এরইমধ্যে, গাজায় হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দিনভর হামলায় ফের শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে গাজায়। যার মধ্যে অর্ধেক মানুষই ত্রাণ সংগ্রহের সময় হত্যার শিকার হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, গাজাবাসীকে সুরক্ষিত দেখতে চান তিনি।

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: পর্যালোচনা করছে হামাস
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে হামাস। যদিও গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। অপরদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বলে জানালেও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি জিম্মিদের মুক্তির পাশাপাশি হামাস নির্মূল করবে তার সরকার। বুধবার (২ জুলাই) ইসরাইলি হামলায় উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১১ জন। এতে করে গাজায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৫৭ হাজার।

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত ইসরাইল
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরাইল সম্মত বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। হামাস প্রস্তাব মেনে না নিলে গাজা উপত্যকাকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিব। যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গেল একদিনে হত্যা করা হয়েছে ১০৯ ফিলিস্তিনিকে। দ্বি-রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে সমাধানের ওপর জোর দিয়েছে চীন। এদিকে ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

গাজায় আরও ৭২ প্রাণহানি; ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আহ্বানও উপেক্ষিত
যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় আগ্রাসনের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরাইল। উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলেছে আইডিএফ। গতকাল (রোববার, ২৯ জুন) একদিনে প্রাণ গেছে ক্ষুধার্ত গাজাবাসী ও শিশুসহ ৭২ জনের। যদিও মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর বলছে, অন্তত ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। যুদ্ধবিরতি সবার জন্যই সর্বোত্তম বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার।