
ট্যানাররা পরিশোধ করছেন না বকেয়া, চামড়া ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত দাম
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তম চামড়ার মোকাম যশোরের রাজারহাট। এখানকার ঈদ-পরবর্তী প্রথম হাট জমেনি। এ হাটে ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৫ থেকে ২০ টাকা আর গরুর ২০০ থেকে ৯০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দায়ী করছেন লবণ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়া এবং ট্যানারি মালিকদের বকেয়া টাকা পুরোপুরি পরিশোধ না করাকে। এদিকে, চামড়া পাচার রুখতে সতর্ক অবস্থায় প্রশাসন।

চামড়া সংরক্ষণে সরকারের বিনামূল্যে দেয়া লবণ বিক্রি!
কোরবানির চামড়া যেন নষ্ট না হয় সেজন্য নাটোরে দুই শতাধিক মাদ্রাসায় সরকারিভাবে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় লবণ। এরপরও সময়মতো আড়তে চামড়া না আনায় নষ্ট হয়েছে চামড়া। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বিনামূল্যের লবণ চামড়া সংরক্ষণে ব্যবহার না করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

নাটোরের আড়তে বেড়েছে চামড়ার সরবরাহ
শুধু কোরবানি ঈদেই নয়, ঈদুল ফিতরের পরেও লবণযুক্ত চামড়ার সরবরাহ বেড়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চকবৈদ্যনাথের আড়তগুলোতে। এই ঈদে তুলনামূলক কম চামড়া সরবরাহ হওয়ায় গুণগত মান ভাল থাকে। ফলে নায্য দাম পাওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। এবারের ঈদ-উল-ফিতরে ৭০ হাজার পিস গরুর চামড়া এবং ৩০ থেকে ৪০ হাজার পিস খাসির চামড়াসহ অন্যান্য চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য ব্যবসায়ীদের। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক বাড়ানো নিয়ে চামড়া শিল্পে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা ট্যানারি মালিকদের। বাধাগ্রস্ত হতে পারে চামড়া রপ্তানি খাতও।