
ফেনীতে বন্যায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি; সমাধানের আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ প্রশাসন
ফেনীতে এবারের বন্যায় মৎস্য আর প্রাণিসম্পদের ৯ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল, ১২২টি সড়ক ও ২ শতাধিক ঘরবাড়ির। প্রাণ গেছে একজনের। সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ শ’ কোটি টাকার বেশি। বর্ষা এলেই জেলার উত্তরের তিন উপজেলার এই চিত্র যেন অনিবার্য। সরকারি কর্তারা বারবার আশ্বাস দিলেও মেলে না সমাধান।

ফেনীর বন্যা সমাধানে সেনাবাহিনী দিয়ে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ ভাবছে সরকার
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি সেনাবাহিনীকে দিয়ে বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক ই আজম আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীর হাটে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিদর্শনকালে এ কথা জানান।

ফেনীতে পানি নামছে, কিন্তু দুর্ভোগ কমেনি; বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষ
নতুন করে বর্ষণ ও উজানের ঢলের চাপ না থাকায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির দিকে। এরইমধ্যে নামতে শুরু করেছে বানের পানি। ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। তবে, বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে সদরসহ ৩ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় আবারও দেখা দিয়েছে প্লাবন।

বন্যায় ফেনীতে ১৬৫৫ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত
টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের ফলে ফেনীতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। তবে যতই পানি কমছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। সৃষ্ট এই বন্যায় নষ্ট হয়েছে আউশ ধানের বীজতলা, সবজিসহ পোল্ট্রি খাত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে ফেনী জেলার ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল (আউশ, আমন, শাকসবজি, মরিচ) পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। আজ (শুক্রবার, ১১ জুলাই) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক জগলুল হায়দার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

টানা বৃষ্টিতে দেশের ২১ জেলায় ক্ষয়ক্ষতি; খাবার ও পানির সংকট
মৌসুমি বায়ু আর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ২১ জেলা। নোয়াখালীতে বৃষ্টি কম থাকায় শহরাঞ্চলে পানি কমলেও গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে পানি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি, শিশু খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট। এদিকে, ফেনীর ২২টি স্থানে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনও পানি ঢুকছে শতাধিক গ্রামে। এতে পানি বাড়ছে ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া ও দাগনভূঞাঁ উপজেলায়। এখন পর্যন্ত জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর ফসলি জমি।

টানা বৃষ্টি-উজানের ঢলে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
গত তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় উজানের ঢলে ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদী তীরের ২২ স্থানে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে আছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ।

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মোকাবেলায় প্রস্তুত সেনাবাহিনী
ফেনী জেলায় টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা প্রশাসক, ফেনী এর তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

দুই জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা
অতিবৃষ্টির কারণে সম্প্রতি ফেনী ও নোয়াখালী জেলায় সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বন্যা ও পরবর্তী গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের মতামত ও করণীয় তুলে ধরেন।

ফেনীতে বন্যার পানির সঙ্গে বাড়ছে নিম্নাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি
ফেনীতে তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০টি স্থানে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। এতে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

টানা বৃষ্টিতে ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, প্লাবিত নতুন এলাকা
টানা দু’দিনের ভারী বর্ষণে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। একাধিক স্থানে নদ-নদীর বাঁধ এখনো বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীতে বাড়ছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বেশকিছু সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফেনীতে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা: প্রশাসনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা
টানা বর্ষণে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধের ১১টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে ২৫টির বেশি গ্রাম। আজ (বুধবার, ৯ জুলাই) ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় প্রায় ৪শ' মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে, ফেনী শহর জুড়েও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সীমা ছাড়াচ্ছে ভোগান্তি। জলাবদ্ধতার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের মতে, নদী বাঁধের যথাযথ মেরামত, খাল দখলমুক্ত ও নিষ্কাশন ব্যবস্থায় ড্রেনগুলোকে কার্যকর করা গেলে দুর্ভোগ কমানো সম্ভব ছিল।

ফেনীতে দেশের সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, মুহুরি নদীর বাঁধে ভাঙ্গন
ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি বছরে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।