নাটোর সদর উপজেলার বড়ভিটার কৃষক মানিক মিয়া। সম্প্রতি বড়ভিটা বিলে দুই বিঘা জমিতে লাগিয়েছেন রোপা আমন ধান। তবে অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় এখন জমির ধান পানির নিচে। হাঁটু সমান পানিতে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন কষ্টের ফসল। বিঘাপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে যে ধান লাগিয়েছিলেন তা নষ্ট হচ্ছে বৃষ্টির পানিতে।
মানিক মিয়া বলেন, ‘ঋণ নিয়ে চার বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। এরমধ্যে দুই বিঘা পানিতে ডুবে গেছে।’
মানিক মিয়ার মতো এমন দুর্দশায় জেলার হাজারো রোপা-আমন ধান চাষিরা। মৌসুমের শুরুতেই রোপণ করা ধান নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা তারা। অনেকে ধার দেনা করে ধান লাগালেও সবটুকু স্বপ্ন এখন যেন পানির নিচে।
কৃষকেরা জানান, জমিগুলো পানির নিচে ডুবে আছে। সেখানে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
তবে পানি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের স্বল্পমেয়াদী ধান লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেয়া হচ্ছে প্রণোদনার আশ্বাস।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা কৃষকদের ব্রি-ধান-২২, ব্রি-ধান-২৩, বীণা-ধান-১১ এ ধানগুলো রোপণের পরামর্শ দিয়ে থাকি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দিয়ে থাকি।’
এবছর জেলায় রোপা-আমন ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭৬ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। তবে অতিবৃষ্টিতে এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে প্রায় এক হাজার একশো হেক্টর জমি। যা থেকে উৎপাদন হতো অন্তত ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন ধান। আনুমানিক ক্ষতি অন্তত ১৪ কোটি টাকা বলে জানান কৃষকরা।