মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। আছে ওষুধি গুণ প্রোটিন, ভিটামিন-বি, সি এবং ডিসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও বেশ উপাদেয় খাবার। অভিজাত রেস্তোরাঁতেও রয়েছে চাহিদা। এতে দিন দিন বাড়ছে দৃষ্টিনন্দন এ সবজির বাজার।
মাগুরা সদর উপজেলার বড়খড়ি গ্রামের বাবুল আখতার। বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে গড়ে তুলেছেন মাশরুমের খামার। শীত মৌসুমে সফলতার পর এবার গরমেও চলছে উৎপাদন। মিল্কি হোয়াইট নামের এ মাশরুমেও সফলতার আশা করছেন উদ্যোক্তা বাবুল আক্তার।
মাগুরা ড্রিম মাশরুম সেন্টার পরিচালক বাবুল আখতার বলেন, ‘এটি আমাদের মিল্কি মাশরুম। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করেছি। এ মাশরুমের চাহিদা বাংলাদেশের পাশাপাশি গোটা পৃথিবীতেই রয়েছে।’
টিসুকালচার করে বীজ উৎপাদন, শুকনো ও কাঁচা মাশরুম বাজারজাত ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয় এ মাশরুম সেন্টারে। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় তিনশ শ্রমিকের।
মাশরুম চাষ দেখতে ও প্রশিক্ষণ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাশরুম প্রেমী ও উদ্যোক্তারা ছুটে আসছেন খামারে।
আরও পড়ুন:
উদ্যোক্তরা জানান, তারা সিলেট থেকে মাশরুম চায়ের প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে। বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদার জন্য তারাও মাশরুম চাষ করে সফলতা অর্জন করতে চান বলে জানান তারা।
মাশরুম উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ড্রিম মাশরুম সেন্টারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
মাগুরা ড্রিম মাশরুম সেন্টার পরিচালক বাবুল আখতার বলেন, ‘এখান থেকে বীজ তৈরি করে, সারা বাংলাদেশে যারা মাশরুম চাষ করছেন তাদের আমরা বীজ সাপ্লাই করবো। তাদের মাশরুম ক্রয় করে আমরা বিপণন করবো। আমাদের সহযোগিতায় আছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্প’
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম মাশরুম সেন্টার এটি। বর্তমানে এখানে গ্রীষ্মকালীন মিল্কি মাশরুম চাষ হচ্ছে।’
মাশরুম চাষে সাফল্যের জন্য কয়েকবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন উদ্যোক্তা বাবুল আক্তার।