ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গেল মার্চ থেকে চাঁদপুরসহ দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এই সময়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পহেলা মে থেকে আবারো নদীতে নামবেন জেলেরা। বর্তমানে মাছ শিকারের প্রস্তুতি নিচ্ছে চাঁদপুরের প্রায় ৫০ হাজার জেলে। মাছ ধরার জাল আর নৌকা মেরামতে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় কাটছে তাদের। জেলেরা আশা করছেন, নদীতে মাছ ধরে ঋণ পরিশোধের সুযোগ মিলবে এবার, ফিরবে আর্থিক সচ্ছলতা।
জেলেদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এই দুই মাসে আমাদের যে চাল দিয়েছে, সেই চালে আমাদের কোনোভাবেই চলছে না। আমাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয়।’
আরেকজন জেলে বলেন, ‘মাছ যদি কপালে থাকে তাহলে পাবো। এরপর সেগুলো বেঁচে কিস্তি চালাতে পারবো।’
মৎস্য বিভাগ বলছে, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন হওয়ায় বাড়বে ইলিশের উৎপাদন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, ‘জেলেরা আমাদের সহযোগিতা করেছে এবং তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়েছে। আমরা আশা করছি যে এবারের এই জাটকা রক্ষা অভিযান অত্যন্ত ভালোভাবে সম্পন্ন হওয়ার কারণে আগামীতে ইলিশের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে।’
নিষেধাজ্ঞাকালীন দুই মাস চাঁদপুরে নিবন্ধিত ৪৪ হাজার ৫ জন জেলেকে ৪০ কেজি করে ৪ মাস চাল সহায়তা দেয়া হয়। এই সময়ে টাস্কফোর্সের অভিযানে শতাধিক অসাধু জেলেকে জেল-জরিমানা করার পাশাপাশি জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল ও জাটকা।