বাংলা পঞ্জিকার প্রথম দিন ও নতুন বছর ১৪৩২ কে বরণ করে নিতে ব্যস্ততা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। ব্যস্ত সময় পার করছে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ও।
সমতল ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামেও বইছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে নববর্ষের আয়োজন, যার নিরাপত্তা নিশ্চিতে চলছে তৎপরতা, জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ (বুধবার, ৯ এপ্রিল) দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রায় এবার প্রথমবারের মতো বামবার নেতৃত্বে ব্যান্ড দল ও সাইমুমের নেতৃত্বে ইসলামিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো অংশ নেবে।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘দল মত নির্বিশেষে সবাই এবার অংশগ্রহণ করবে। এটা একটা পরিষ্কার বার্তা যে, আমরা একটা সম্মিলিত বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছি।’
এবারের বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রায় বাঙালিসহ ২৮টি জাতিগোষ্ঠী অংশ নিচ্ছে। এই শোভাযাত্রার মূল লক্ষ্য সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরি।
ফারুকী বলেন, ‘এবার বাঙালি ছাড়াও ২৭টি জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করছে। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরবে।’
রাঙামাটিতে বিজু উৎসব উপলক্ষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, ‘নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে উৎসব পালনের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘নববর্ষ যেন সবার ভালো কাটে, সেভাবেই প্রস্তুতি চলছে।’
এছাড়া শোভাযাত্রায় স্থান পাবে ফিলিস্তিনিদের কথাও। সংস্কৃতির মাধ্যমে তুলে ধরা হবে আন্তর্জাতিক সংহতির বার্তা।
সরয়ার ফারুকী আরো বলেন, ‘চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ঢাকা শহরে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একটা কন্সার্ট হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আমরা আশা করি এটা অনেক বড় একটা কন্সার্ট হবে এবং অনেক মানুষ সেখানে অংশগ্রহণ করবে।’
উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এবারের শোভাযাত্রার রং ও থিমে থাকবে নতুনত্ব। লোকগীতির একটি বিশেষ অংশও সংযোজন করা হবে। পাশাপাশি রমনার ছায়ানট এবং রবীন্দ্র সরোবরে সুরের ধারা আয়োজন করবে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।