তবে কী সময় ফুরিয়ে এসেছে? হয়তো তা বুঝতে পেরেই মাত্র দু'সপ্তাহ আগে তীব্র শারীরিক যন্ত্রণা নিয়ে শেষবার মঞ্চে উঠেছিলেন দ্য প্রিন্স অব ডার্কনেস খ্যাত ব্রিটিশ গায়ক, ব্ল্যাক সাবাথের ফ্রন্ট ম্যান অজি অসবার্ন। বিস্ময়কর সেই কনসার্টের রেশ কাটতে না কাটতেই বেদনার সুরে হারিয়ে গেলেন কিংবদন্তী এ রকস্টার।
ট্রু বার্মিংহাম লিজেন্ড খ্যাত অজির জন্ম ১৯৮৪ সালে বার্মিংহামেরই এস্টন শহরে। অল্প বয়সে ডাইস্লেক্সিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে থমকে যায় স্বাভাবিক শৈশব। শাসন মানিয়ে নিতে না পেরে ১৫ বছর বয়সে ছেড়ে দেন স্কুলের লেখাপড়া। ছেলেবেলায় গানের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসার নাম দ্য বিটলস ব্যান্ড।
নির্মাণ শ্রমিক, কসাইখানার কর্মী, মোটর গাড়ির কারখানায় হর্ন মেরামতের মিস্ত্রি- কত কিছুই না করেছেন শৈশবে। গানের জগতে আসেন ১৯৬৭ সালে রেয়ার ব্রীড ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে। যদিও দুটি শো'র পরই ভেঙ্গে যায় ব্যান্ডের পথচলা। যদিও থেমে যাননি অজি।
দীর্ঘ ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে অনেক ব্যান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকলেও হেভি মেটাল ঘরনার ব্যান্ড ব্ল্যাক সাবাথের মূল গায়ক ও রচয়িতা হিসেবেই অজিকে চেনে বিশ্ববাসী।
নিজের ও ব্যান্ডের মিলিয়ে সারাবিশ্বে অজির প্রায় সাড়ে ৩ কোটি কপি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে, জিতেছেন গ্রামি এ্যাওয়ার্ডও। ২০১০ এ মুক্তি পাওয়া সবশেষ অ্যালবাম স্ক্রিমের প্রচারণার জন্য চষে বেড়িয়েছেন বিশ্ব।
বিশ্বনন্দিত এই তারকার দর্শন, জীবনবোধ নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু হেভি মেটাল ঘরানার গানে তিনি এক অবিসংবাদী প্রতিভা। তাই অজি অজবার্ন নামের এই নক্ষত্রের বিদায়ে স্তব্ধ বিশ্বের কোটি কোটি -ভক্ত-অনুরাগী।