গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ঢাকার ধানমন্ডি শাখার লা গ্যালারিতে এ প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলছে। এটি শেষ হবে ১১ আগস্ট।
সব শ্রেণির দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীতে যোগ দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. তানজিম উদ্দিন খান, শিক্ষক ও অ্যাক্টিভিস্ট ড. সামিনা লুৎফা। আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম ও ইউপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দিন প্রমুখ।
জীবন আহমেদ গণঅভ্যুত্থানের একজন প্রত্যক্ষদর্শী আলোকচিত্রী। অভ্যুত্থানকালের পুরোটা সময়ে তিনি রাজপথেই ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থান ২০২৪-এর উত্তাল দিনগুলো ধরা পড়েছে তার ক্যামেরায়, যেগুলো একইসাথে ইতিহাসের স্মারক এবং রাষ্ট্রীয় নির্মমতা ও জনতার প্রতিরোধের মুখোমুখি লড়াইয়ের প্রামাণ্য দলিল। আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জীবন আহমেদের এই একক প্রদর্শনীতে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় জীবন আহমেদের লেখা বই “উইটনেস টু দ্য আপরাইজিং (Witness to the Uprising) এর মোড়ক উন্মোচন। গণঅভ্যুত্থানের প্রামাণ্য দলিল হয়ে ওঠা এ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন শহীদ নাফিজের বাবা, যিনি সেই সময় তার সন্তানের মরদেহ বহনকারী রিকশাচালক নুর মিয়া।