গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের লোগো
কর্পোরেট
1

‘বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ৩৩ কর্মকর্তার মধ্যে ২৭ জনই অবৈধ’—এমন প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে বিওএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ খবর সত্যনির্ভর নয় এবং এতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

বিওএ’র মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম শেফাউল কবীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) কর্তৃক স্বীকৃত বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় অলিম্পিক সংস্থা (এনওসি)। এর সব কার্যক্রম চলে আইওসি অনুমোদিত নিজস্ব গঠনতন্ত্র অনুসারে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমান কমিটি ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ সালে নির্বাচিত হয়েছে এবং ৪ বছরের মেয়াদে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে। সেই অনুযায়ী, এই কমিটির সদস্যদের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। সংস্থাটি উল্লেখ করে, বিওএ’র গঠনতন্ত্রের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং অলিম্পিক চার্টারের নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে।

বিওএ আরও বলেছে, তারা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে নয়, দেশের খেলাধুলার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। সংগঠনটি মনে করে, গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য; তবে ভিত্তিহীন ও নেতিবাচক খবর মাঠপর্যায়ে কাজের স্পৃহা নষ্ট করে এবং প্রতিষ্ঠানকে বিব্রত করে।

সংস্থাটি আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয় তুলে ধরার আগে যথাযথ তথ্য যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকতা চর্চা করা হবে। বিওএ সকলের সহযোগিতায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানানো হয়।

এনএইচ