ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে না জেনে স্টেশনে এসে অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেলওয়ে রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা চালু ছিল। কিন্তু ২০২২ সালে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের থেকে মাইলেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এর আগে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো মাইলেজ সুবিধা পেলেও ২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিপত্রে পেনশন ও আনুতোষিকে পার্ট অব পে মাইলেজ সুবিধা বাতিল করা হয়। বৈষম্যমূলক এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে সবার জন্য মাইলেজ সুবিধা এবং পেনশন ও আনুতোষিকে পার্ট অব পে মাইলেজ চালু না করা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে।
নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।