তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কোনো পেশাজীবী সংগঠন নেই। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কোনো পেশাজীবী সংগঠন নেই।’
কামাল আহমেদ বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ইউনিয়ন ছাড়া সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা হবে না; ইউনিয়নকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠের সাংবাদিকদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘সংস্কার কমিশন গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশ করে যাবে, বাস্তবায়নের জন্য মাঠের সাংবাদিকদেরই চাপ প্রয়োগ করতে হবে। প্রেস কাউন্সিলকে কার্যকর করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করা প্রয়োজন। স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ এবং সাংবাদিকদের মর্যাদা ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বেতন কাঠামো নির্ধারণ ও ওয়েজবোর্ড যথাযথ বাস্তবায়ন বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।’
ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কমিশনের সদস্য আখতার হোসেন খান, মোস্তফা সবুজ উপস্থিত ছিলেন।
সভার প্রথম পর্বে উপস্থিত সাংবাদিকরা সংস্কার কমিশনের কাছে বিভিন্ন প্রস্তাবনা পেশ করেন। সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিশ্চিতকরণ, সম্মানজনক বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন, মিডিয়া হাউজগুলোর যথাযথ তদারকি, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, সাংবাদিক সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, সাংবাদিকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত, চাকরির নিরাপত্তা, টেলিভিশনের জন্য আলাদা বেতন কাঠামোসহ নানা বিষয়ে সংস্কার কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন।