নওগাঁয় ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষকরা, বাড়তি খরচে লোকসানের শঙ্কা

কৃষি
এখন জনপদে
0

উত্তরের জেলা নওগাঁয় চলছে ইরি-বোরোর আবাদ। আমন মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ায় ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফসল ঘরে তোলার প্রত্যাশা তাদের।

উত্তরের জেলা নওগাঁর মাঠে মাঠে ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কাটারিভোগ, জিরাশাইল, ব্রি-২৮, সুবর্ণলতাসহ হাইব্রিড জাতের ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে।

বদলগাছী উপজেলার জিধিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার। চলতি মৌসুমে ৬ বিঘা জমিতে করছেন বোরো ধানের আবাদ। তবে সার, কীটনাশক, সেচ আর শ্রমিকের দাম বাড়ায় ফসল উৎপাদনে তার খরচ বেড়েছে। ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ দাঁড়াবে অন্তত ১৫ হাজার টাকা।

ধান আবাদের বাড়তি খরচ যোগাতে ধারদেনা করেন অনেক কৃষক। যা পরিশোধে ধান ঘরে তোলার আগেই উঠান থেকেই ধান বিক্রি করতে বাধ্য হন। ফলে লোকসান কাটাতে মৌসুমের শুরুতে প্রতি মণ ধানের দাম অন্তত ১৫শ টাকা করার দাবি কৃষকদের। একই সাথে অভিযোগ করেছেন, সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়ানোর।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে উন্নত জাতের হাইব্রিড বীজের প্রণোদনা পাশাপাশি কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি বছর কৃষক ধানের ভালো দাম পাওয়ার কারণে বোরো ধান আবাদের আগ্রহ বেড়েছে। আমাদের মাঠে পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রয়োজন সব পরামর্শ দিচ্ছে।’

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, নওগাঁয় এ বছর ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ১২ লাখ ৮৬ হাজার টন ধান উৎপাদনের আশা। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

এএম