ভয়াবহ খরার কবলে সার্বিয়ার কৃষকরা, দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে কৃষি খাত

ভুক্তভোগী কৃষক
বিদেশে এখন
0

তীব্র গরমের মধ্যে ৪০দিনের বেশি সময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ভয়াবহ খরার কবলে সার্বিয়ার কৃষকরা। এতে জমির ফসল রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফসলি জম নষ্ট ছাড়াও ক্ষতি হচ্ছে গবাদি পশুরও। এতে দেশটির কৃষিখাত দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে বলে শঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

প্রখর রোদে জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব পড়ছে সার্বিয়ায়। এক মাসেরও বেশি সময় কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করায় চরম খরার কবলে দেশটি।

এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। খরায় মাঠের ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে অনেকের। এরমধ্যে বৃষ্টিতো হচ্ছেই না, তার উপর কূপসহ সেচ দেয়ার উৎসগুলোতেও শুকিয়ে যাচ্ছে পানি। এতে খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায়, কৃষকদের লড়াইও কঠিন হয়ে উঠেছে।

কৃষকদের একজন বলেন, ‘গত বছরও পানি পাওয়া যাচ্ছিলো না। আমার মনে হয় এই বছর পরিস্থিতি আরও খারাপ। আমাদের অঞ্চলে, প্রায় ৪০ দিন ধরে ভারি বৃষ্টি হয়নি। যে কয়েক ফোঁটা পড়েছে তা মিলিয়ে, প্রতি বর্গমিটারে এক লিটারও হবে না।’

তীব্র গরমের মধ্যে বৃষ্টির কোনো আভাস না থাকায়, ফসলি জম নষ্ট ছাড়াও অসুস্থ হয়ে পড়ছে গবাদি পশুগুলোও। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সব মিলিয়ে খরা দীর্ঘ হওয়ায় ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সার্বিয়ার কৃষকরা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মধ্য সার্বিয়ার আরানডেলোভাকের।

কৃষকদের আরেকজন বলেন, ‘আমরা খুব খারাপ সময় পার করছি। রোদের তাপে ভুট্টা প্রায় সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। কৃষিকাজের দিক বিবেচনায়, এটি আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছরগুলোর মধ্যে একটি।’

বার্লি এবং সূর্যমুখীর মতো কিছু ফসল টিকে থাকলেও, গম ও ভুট্টার ফলন উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক বছরের তুলনায় ফসল এবার অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। অর্থাৎ প্রতি হেক্টরে আট টন পর্যন্ত গম উৎপাদনের জায়গায় এবার তা চার টনে নেমে আসতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে ফসল রক্ষায় রীতিমতো যুদ্ধ করছেন সার্বিয়ান চাষিরা। দূরদূরান্তের জলাশয় থেকে টেনে আনছেন পানি। বারবার তীব্র তাপপ্রবাহের হানা সার্বিয়ার কৃষিকে দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্কও করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

সেজু