বিস্তৃত মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইয়ের জয়মন্টপে জমি থেকে গাজর তুলতে ব্যস্ত চাষিরা।
দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে গাজর চাষের সাথে যুক্ত জেলার জয়মন্টপ, আজিমপুর, চর-আজিমপুর, কিটিংচরসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় দশ হাজার কৃষক। তবে সময়মতো পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এবার কিছুটা কমেছে গাজরের ফলন। এতে কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।
এদিকে গাজর পরিষ্কারে এবার বিশেষ মেশিনের ব্যবহার বাড়লেও সংরক্ষণে নেই উন্নতমানের হিমাগার। এ অবস্থায় উপজেলায় একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
অল্প সময়ে ফসল ওঠায় গাজর চাষে লাভ বেশি, সে কারণে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪২ হাজার টন গাজর উৎপাদন হবে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর যে গাজর হয়েছে তা যদি আমরা ১৫ টাকা দরে ধরে আমরা হিসাব করলে দেখি প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গাজর সিংগাইর থেকে বিক্রি হবে।’
চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৯৬০ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। সরকারের সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলের গাজর বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।