আজ (সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টায় উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড কালা মিয়া মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শাহজাহান বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে গরুর খামারের সাথে জড়িত তিনি। তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম এ খামার।’
বর্তমানে তার খামারে ৬টি বড় গরু ও ২টি বাছুর ছিল। সোমবার রাত ১টার দিকে গরুর দুধ নেওয়ার পর খামার বন্ধ করে নিজের বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। রাত ২টার দিকে খামার থেকে গরুর চিৎকারের শব্দ পেয়ে জানালা দিয়ে খামারে আগুন জ্বলতে দেখেন তিনি।
খামারে থাকা গরুগুলোর গায়ে আগুন জ্বলতে দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বের হতে পারেন নি।
পাশে থাকা তার দুই ভাইয়ের ঘরের দরজাও একইভাবে আটকে দেওয়া হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বাইরে থেকে আটকানো দরজা খুলে দিলে তারা সবার সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে খামারে থাকা ৮টি গরু ও গো-খাদ্যগুলো পুড়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বাড়ির একপক্ষের সাথে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তারা গত কয়েকদিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এর জের ধরে খামারে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন। এছাড়াও আগুনের বিষয়টি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়ার পর সেই ব্যক্তিদেরও হুমকি দিচ্ছে ওই পক্ষ।
কবিরহাট উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শাহজালাল মোহাম্মদ ইউনুস জানান, সবগুলো গরুর শরীরের এক দ্বিতীয়াংশ ও তৃতীয়াংশ পুড়ে গেছে। যার মধ্যে ২টি জবাই করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে আমরা যদিও প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি তবে তাতে মনে হয়না গরুগুলো বাঁচানো সম্ভব হবে। তারপরও আমাদের টিম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’