চার ঘণ্টার দুর্ভোগ শেষে গন্তব্যের পথে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস

কিশোরগঞ্জ
দেশে এখন
এখন জনপদে
0

দীর্ঘ চার ঘণ্টা আটকে থাকার পর অবশেষে ইঞ্জিন সমস্যার সমাধান হয়ে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস। আখাউড়া থেকে নতুন ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে সচল করা হয়। ইঞ্জিন বিকলের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে কালিকাপ্রসাদ এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। এতে ট্রেনটি মাঝপথেই আটকে যায় এবং শত শত যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।

কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার খলিলুর রহমান বলেন, 'কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে সোয়া ১টায় ভৈরব জংশনে পৌঁছায়। নির্ধারিত বিরতির পর ট্রেনটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে, কিন্তু ভৈরব থেকে কয়েক কিলোমিটার সামনে কালিকাপ্রসাদ এলাকায় পৌঁছানোর পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।'

ইঞ্জিন বিকলের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বিপাকে পড়েন নারী, শিশু ও বৃদ্ধ যাত্রীরা। অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর অনিশ্চয়তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর বিকল্প ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে উল্টো পথে ভৈরব স্টেশনে ফিরিয়ে নেয়া হয়। সেখানে মেরামতের পর ট্রেনটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ইঞ্জিন বিকল হলেও প্রথমদিকে রেল কর্তৃপক্ষ সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় যাত্রীদের ক্ষোভ বাড়ে।

রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ইঞ্জিন সমস্যার কারণ নির্ধারণ করতে সময় লেগেছে। বিকল্প ইঞ্জিন সরবরাহে দেরি হওয়ায় ট্রেনটি দীর্ঘ সময় আটকে ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, ট্রেনটি কিশোরগঞ্জের পথে রয়েছে।

তবে যাত্রীরা বলছেন, এ ধরনের সমস্যা এড়াতে আগেভাগেই রেলওয়ের প্রস্তুতি নেয়া উচিত। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনার ফলে সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে না পড়তে হয়।

এসএস