সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন বিকেলে বনবিট অফিসের কাছেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর বন বিভাগের ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা।
সন্তোষপুর বনবিট অফিসার মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘গতকাল আগুনের খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ঈদের দিন অনেক পর্যটকই এখানে ঘুরতে এসেছিল হয়তো কারো বিড়ি সিগারেটের আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ নিয়ে থানায় জিডির প্রস্তুতি চলছে।'
তবে এ বিষয়ে ময়মনসিংহের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তাকে কোনো কিছু জানানো হয়নি বিট অফিস থেকে।
সন্তোষপুর বনাঞ্চলে মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ৩ হাজর ৬শ’ একর। যার মধ্যে শালবন রয়েছে এক হেক্টর জায়গা জুড়ে। শালবন রক্ষার্থেই সেখানে বাণিজ্যিকভাবে বেত বাগান লাগিয়েছে বন বিভাগ।
তবে বিভিন্ন সময় এক শ্রেনীর অসাধু বনখেকোরা বনের গাছ কেটে ফেলাসহ বনের জায়গা জবর দখল করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
সন্তোষপুর গ্রামের কিবরিয়া লিয়াকত আলী বলেন, ‘বনবিটের সামনে শালবনে এমন আগুন লাগার বিষয়টি দুঃখজনক, এমন ঘটনার পর খবর পেয়ে আমরা সবাই মিলে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।’
এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে, সচেতন হতে হবে বন বিভাগেরও। তবে অনেকে বলছে আগুন লাগার ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে বনাঞ্চলের ভেতরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমে আসতো।
এ বিষয়ে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রোকনুজ্জামান জানান, বন বিভাগ ঘটনার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত তারা কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি।