বছরজুড়ে সারাদেশে যে ফুল বেচাকেনা হয় তার অন্তত ৭০ ভাগই সরববাহ হয় যশোর থেকে। ঝিকরগাছার গদখালির পাইকারি বাজারে দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের ফুল বিক্রি হয়। বাংলা নববর্ষ ঘিরে মৌসুমের শেষ দিবসে ভাল দাম পাওয়ার আশা ফুল চাষিদের।
ফুল চাষিদের মধ্যে একজন বলেন, 'সামনে পহেলা বৈশাখে আশা করছি বেচাকেনায় আমরা লাভবান হতে পারবো।'
গদখালীর পানিসারা গ্রামের মিন্টু গাজী। মাত্র দুই শতক জমিতে প্রথমবারের মত চাষ করেছেন নন্দিনী ফুল। তাতে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। গরমে এই ফুল বেশি দিন সতেজ থাকে তাই চাহিদা বেশি। খেতে যে ফুল এসেছে তা ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা বিক্রির আশা তার।
নন্দিনী ফুলচাষি মিন্টু গাজী বলেন, 'এটা দুর্লভ ফুল, জাপান থেকে এর বীজ সংগ্রহ করতে হয়। এটা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি স্টিক বিক্রয় করা হয়ে থাকে।'
বাংলা নববর্ষ ঘিরে কয়েকদিনে গদখালি ফুলবাজার থেকে এক থেকে দুই কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালি ফুলচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, 'বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে ঘিরে আমাদের ফুলের বাজার চাঙ্গা থাকে। গত কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমরা ফুলের বাজার ভালো পাইনি। যদি দেশের অবস্থা ভালো থাকে এবং অনুষ্ঠানগুলো হয়, তাহলে এই ফুলের রাজ্য থেকে এক-দুই কোটি টাকার ব্যবসা করতে পারবে।'
গদখালীতে প্রতি বছর নতুন নতুন ফুলচাষ হয়ে থাকে। এ বছর নতুন জাতের নন্দিনী ফুল চাষ হয়েছে। যা অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ফুল দেয়ার পাশাপাশি বেশি সময় সতেজ থাকে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক প্রতাপ মন্ডল বলেন, 'এটি গ্রীস্মকালীন একটি ফুল এবং এটিকে আমরা গোলাপের বিকল্প হিসেবে ধরতে পারি।'
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১২ ধরনের ফুলের চাষ হয়। দেশে ফুলের চাহিদার ৭০ শতাংশই পূরণ করে গদখালীর বাজার।