পেশায় ঘাট মাঝি আবু তাহের জানান, রাতে বুনো হাতির পালের একটি হাতি পিছন দিক থেকে তার ঘরে প্রবেশ করে ঘর ও আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করে সামনের দিকে বের হয়ে যায়।
তাহের বলেন, ‘এসময় প্রাণভয়ে আমরা দ্রুত ঘর থেকে বরে হয়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেই। একটুর জন্য পরিবারের সকলে প্রাণে রক্ষা পাই। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।’
চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অসহায় গরীব ঘাট মাঝি আবু তাহের। ঘর ও আসবাবপত্র ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে হাতি। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই লাখ টাকা। হাতির আক্রমণ থেকে পরিবারের সকলে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু তারা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সহকারী বন সংরক্ষক আবু কাউসার বলেন, ‘আমরা রাতে খবর পেয়েছি। স্থানীয় বিট অফিসার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেবেন। এ বিষয়ে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঘটনাস্থল মুসলিমপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বন্যহাতির পাল এসে আমাদের প্রায় ক্ষতি করছে। আমরা সব সময় হাতির আক্রমণের আতঙ্কে থাকি। স্থানীয় বন বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যাবে না।’