হবিগঞ্জে দুধের উৎপাদন বাড়লেও বন্ধ হচ্ছে খামার

হবিগঞ্জ
এখন জনপদে
0

গত এক দশকে হবিগঞ্জে দুধের উৎপাদন বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। এরপরও বাৎসরিক চাহিদার তুলনায় দুধের ঘাটতি ১ লাখ ১২ হাজার টন। খামারিরা বলছেন, গো খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচাঘাসের তীব্র সংকটসহ নানা কারণে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে খামার। দুধের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ও জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

হবিগঞ্জ জেলায় নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার খামার রয়েছে। গত এক দশকে বেড়েছে দুধের উৎপাদন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে যেখানে মাত্র ৬৫ হাজার টন দুধ উৎপাদন হয়েছে, সেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন পৌঁছেছে ১ লাখ ৭১ হাজার টনে। উৎপাদনের বিপরীতে জেলায় বাৎসরিক দুধের চাহিদা ২ লাখ ৮৩ হাজার টন। অর্থাৎ, প্রতি বছর জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার টন দুধের ঘাটতি রয়ে যায়।

খামারিরা জানিয়েছেন, গাভী পালনে খরচ বেড়েছে বহুগুণ। কাঁচা ঘাসের তীব্র সংকটে দানাদার খাবারের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় কমেছে উৎপাদন। এর সঙ্গে তুলনামূলকভাবে দুধের দাম না বাড়ায় একের পর এক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

তারা বলছেন, ‘দুধের দামে আর গরুর খাবারের দামে মিল না থাকায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক খামার। গরুর খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে খামার করে লাভ নেই।’

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, বাজারে দুধের চাহিদা কম, তাই কমেছে দাম। এক সময় মিষ্টির দোকানগুলোতে প্রচুর পরিমাণে দুধ সরবরাহ করা হলেও বাহিরের জেলা থেকে ছানা আসায় কমেছে দুধের চাহিদা।

হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল কাদেরবলছেন, ‘খামারিদের সহায়তা এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এখানে দুধের ঘাটতি রয়েছে। এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। প্রজেক্ট চালু হয়েছে৷ এখানে কিছু খামারিদের যদি আমরা ট্রেনিং দিতে পারি, প্রয়োজনীয় উপকরণ দিতে পারি তাহলে তাদের দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’



ইএ