রাতেও উত্তরাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে। যানজটের বিষয়ে মাইক্রোবাস চালক জুলহাস মিয়া বলেন, ‘দুই ঘণ্টার সড়ক ১১ ঘণ্টায় এসেছি। কত ঘণ্টায় যমুনা সেতু পারাপার হবো তাও জানি না। না খেয়ে থেকে কষ্ট হচ্ছে।’
বাস যাত্রী লোকমান ফকির বলেন, ‘বাইপাইল থেকে সকালে বাসে উঠছি। এখন রাত ৮ টায় টাঙ্গাইল। কখন বগুড়া যাবো তাও জানি না। ৭০০ টাকার ভাড়া আজকে ১৮০০ টাকা নিছে। তাও ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি যেতে পারছি না।’
মোটরসাইকেল আরোহী তোফায়েল হোসেন বলেন, ‘২০ টাকার পানি ৩০ টাকায় কিনছি। সব মিলিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ওসি মো. শরিফ জানান, মহাসড়কে গাড়ির এখনো প্রচুর চাপ রয়েছে। বাম্পার টু বাম্পার গাড়ি যাচ্ছে। এটি নিরসন হতে আরো সময় লাগবে।
যমুনা সেতু সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ৪৯ হাজার ৫৫৭টি যানবাহন যমুনা সেতু পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় তিন কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫০ টাকা।