রাঙামাটির প্রবেশপথে ময়লার ভাগাড়; নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য

শহরের প্রবেশপথে গড়ে উঠা ময়লার ভাগাড়
এখন জনপদে
1

রাঙামাটি যা পরিচিত পর্যটন নগরী হিসেবে। কিন্তু শহরের প্রবেশপথেই গড়ে উঠেছে পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। যেখানে নিয়মিত ময়লা ফেলায় কাপ্তাই লেকসহ দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ। ফলে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতসহ ও ভাগারটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি স্থানীয়দের। আর দ্রুত ব্যবস্হা নেয়ার আশ্বাস পৌর কর্তৃপক্ষের।

সারাবছরই দেশের নানা প্রান্ত থেকে নিসর্গপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুরা আসেন রাঙামাটিতে। নৈসর্গিক দৃশ্য যত মনোরমই হোক, শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। শহরের প্রবেশমুখেই ময়লার ভাগাড় প্রতিনিয়ত দূর্ষিত করছে পরিবেশ।

এর সাথে প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য। আর এইসব বর্জ্য মিশেছে কাপ্তাই লেকের পানিতে। যা ভয়াবহ হুমকিতে ফেলছে জীববৈচিত্রকে। ভাগাড়ের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জীবন।

খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলায় নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র্য। এমনকি পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে রোগ জীবাণু। তাই স্থানীয়দের দাবি দ্রুত ভাগাড়টি স্থানান্তরের।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, ভাগাড়ের দুর্গন্ধের কারণে সকালে বা দুপুরে বা রাতে কখনোই বাসায় থাকা যায় না। ছেলে-মেয়েরা অসুস্থ হয়ে যায়। হাসপাতালের বর্জ্য থেকে শুরু করে শহরের সমস্ত মরা জিনিস এখানে ফেলা হয়। আমরা চাই এখান থেকে এই ভাগাড় টা সড়ানো হোক।

পৌর কর্মকর্তা জানান, খুব দ্রুতই ভাগাড়টিকে স্থানান্তর করা হবে। এমনকি ভাগাড়টিতে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে নতুন আয়ের খাত তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, ‘যেই বর্জ্যগুলো ফেলা হচ্ছে এগুলো ডাম্পিং করে সার হিসেবে আমরা তৈরি করতে পারি এবং বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দিতে পারি।’

স্থানীয় সরকার প্রশাসক রাঙামাটি পৌরসভা ও উপপরিচালক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন বলেন, ‘ডাম্পিং স্টেশনের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা জায়গা দেখছি এবং আমাদের মাসিক মিটিং এ আলোচনা করেছি। একটা ভালো জায়গা পেলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা এটা স্থানান্তরের জন্য ভাবছি।’

ইএ